রাসিকের সাবেক মেয়র বুলবুলের বিরুদ্ধে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে সাবেক মেয়র বুলেবুলের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার দুপুরে রাসিকের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সভায় এ অভিযোগ তোলা হয়। এসময় আগামী নির্বাচনে বুলবুল যেন আর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হতে না পারে-এর জন্য রাসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে মেয়র নির্বাচিত করারও আহ্বান জানান বক্তারা।

রাসিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সেন্টু, রাসিক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী রিপন, আজাহার আলী, কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহমেদ মামুন প্রমুখ। তবে এনেক্স ভবনের মেয়রের আসনেও বসতে দেখা যায় এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এ নিয়ে চরম ক্ষোভও দেখা দেয় অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে।

তাদের অভিযোগ, লিটনের পক্ষে ভোট চাইতে এনেক্স ভবনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি অবৈধ। এভাবে রাসিক ভবনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে সভা করতে পারেন না কেউ। আবার যে চেয়ারে মেয়র বসেন, সেই চেয়ারে বসেই কর্মচারী-কর্মকর্তারা সাবেক মেয়র বুলবুলের বিপক্ষে নানা অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ তারা তুলতেই পারনে। কিন্তু মেয়রের আসনে বা নগর ভবনের চেয়ারে বসে নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী বলেন, বুলবুল পরাজিত হয়ে নতুন কেউ মেয়র হলেও কখনোই এনেক্স ভবনের মেয়রের চেয়ারে বসার অধিকার পাবেন না কর্মচারীরা। কিন্তু মেয়র না থাকার কারণে সেই চেয়ারে বসা মোটেও ঠিক হয়নি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নির্বাচিত করতে ওই বৈঠকে বক্তারা আরো বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে রাসিক কর্মচারীদের ২ হাজার ৭০০ পরিবারের একটি ভোটও যেন অন্য কোনো বাক্সে না যায়। এর জন্য প্রয়োজনে জীবন দিব। কিন্তু লিটনের বাইরে কাউকে নির্বাচিত করবো না। ৫ বছর আগে যে ভুল আমরা করেছিলাম, এবার সেই ভুল আর আমরা কেউ করবো না। এবার লিটনকে নির্বাচিত করবোই।’

সভায় দুলাল শেখে বলেন, বুলবুলকে নির্বাচিত করে কোনো লাভ হয়নি। উনি আমাদের কিছু দিতে পারেনি। দিয়েছেন ক্ষুদা, বঞ্চনা ও রক্ত। তাই এবার খায়রুজ্জামান লিটনকে ছাড়া কাউকে ভোট দিবেন না। এবার নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। আপনাদেন বেতন বৃদ্ধি হয়েছে, আবারো হবে। সেটি করবে লিটনই। অপরদিকে বুলবুল সাত কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। সেইসঙ্গে ৭৭ কোটি টাকা ঋণ রেখে গিয়ে রাসিককে ফাঁকা করে গেছেন। কাজেই অযোগ্য বুলবুলকে দিয়ে কিছু হবে না। রাসিকের এবং কর্মচারীদের উন্নয়ন করতে হলে বুলবুলকে পরাজিত করে লিটনকে জয়ী করতে হবে। তাহলে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকাও গ্রীণ সিটি, ক্লিন এবং হেলদি সিটির মাণ ধরে রাখতে পারবে।’

স/আর