শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাষ্ট্রের ভিতগুলো বঙ্গবন্ধু বপন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু না থাকলে এ দেশ সৃষ্টি হতো না। জাতির পিতার যে রাষ্ট্র দর্শন ছিল সেটা নিয়ে আমাদের গবেষণা এবং অধ্যবসায়ের প্রয়োজন রয়েছে। হত্যাকারীরা চেয়েছিল আমরা একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হই, কিন্তু আমরা তা হইনি। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রক্ষার লড়াই করেছেন তাদের জন্যই আমরা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হইনি। রাষ্ট্রের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর যে দূরদর্শিতা তাতেই এ দেশের ভিত রচিত হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রথম বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দেন। আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একে অপরের মধ্যে নিহিত। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সম্মান দেখিয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ হই তাহলেই এদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত ও অসম্প্রদায়িক সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অন্যদের মাঝে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক মো. মাজনুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলমের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক বিপ্লব মল্লিক ও সাদিকা পারভিন তামান্নার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ (মেজবাহ্ কামাল)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলসমূহের প্রভোস্ট, দপ্তরসমূহের পরিচালক, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাসহ ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ