রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মান্নার জামিন স্থগিত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন।

এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবর শুনানির পরবর্তী দিন রেখে ওই দিন পর্যন্ত জামিন স্থগিত করেছেন আদালত। মান্নার আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিতের আবেদন করেছিল। সেটা মঞ্জুর করে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নিয়মিত আপিলের আবেদন করতে বলা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই আদেশের ফলে এর মধ্যে অপর মামলায় জামিন পেলেও কারাগার থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না মান্না।

গত ৩০ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার বেঞ্চ এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে তার জামিন মঞ্জুর করেন। বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে টেলিকথোপকথনে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কথা বলার অভিযোগে মাহমুদুর রহমান মান্না ও খোকার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৫ মার্চ গুলশান থানায় এই মামলা দায়ের হয়।

ওই ঘটনায় সেনা বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি একই থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলা দায়ের হওয়ার পর সেই সময় গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বৈধ সরকারকে অবৈধভাবে উচ্ছেদের চেষ্টার অংশ হিসাবে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যাচেষ্টার মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে এই দুজনের বিরুদ্ধে।

ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার সঙ্গে আলাপচারিতায় সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদারে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলা নিয়ে মান্নাকে কথা বলতে শোনা যায়।

ছাত্রজীবনে বামপন্থী সংগঠনে যুক্ত মান্না ডাকসুতে দুইবার ভিপি নির্বাচিত হন, চাকসুতে জিএস ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে আওয়ামী লীগে চিহ্নিত হওয়ার পর তিনি দলে অপাঙক্তেয় হয়ে পড়েন। বর্তমানে নাগরিক ঐক্য নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

সূত্র: কালের কণ্ঠ