রাশিয়ার যুদ্ধবিমান কেনার আদেশ বাতিল করেছে ভারত?

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিমানসহ কিছু অস্ত্র সরঞ্জামের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে।

ডোনাল্ড লু বুধবার সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটিতে বক্তব্য দেন। এসময়  ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক অস্ত্র সরঞ্জাম কেনা যেকোনো দেশের পক্ষেই কঠিন হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে আমরা ভারত থেকে যা দেখেছি… রুশ মিগ-২৯ , হেলিকপ্টার ও অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র অর্ডার বাতিল করা হয়েছে। ’

নয়াদিল্লিতে যোগাযোগ করা হলে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু-র বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

ভারতকে ‘সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার’ বিবেচনা করা লু ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ওপর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভোটের কয়েক ঘণ্টা পরে সিনেটের শুনানিতে বক্তব্য দেন। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ ৩৪ টি দেশ ওই ভোটে অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিল।

আলোচনায় কঠোর সিএএটিএসএ আইন : রাশিয়ার নিন্দা করা প্রস্তাবে ভারতের ভোটদানে বিরত থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার জন্য দিল্লির ওপর কঠোর সিএএটিএসএ নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বিবেচনা করছে কিনা ডোনাল্ড লুকে তা সুনির্দিষ্টভাবে জিজ্ঞেস করা হয়।

kalerkantho

জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রেসিডেন্ট বিবেচনা করবেন। তিনি প্রেসিডেন্ট বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিষয়ে ‘পূর্বাভাস’ দিতে পারবেন না। কিংবা এ সিদ্ধান্তের ওপর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কোনোপ্রভাব পড়বে কিনা তা-ও বলা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

সিএএটিএসএ (কাউন্টারিং আমেরিকা’স অ্যাডভারসারিজ থ্রু স্যাংশনস অ্যাক্ট) ২০১৭ সালে ইরান, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়াকে লক্ষ্য করে প্রবর্তিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি কঠোর আইন। এ আইন ওইসব দেশের সঙ্গে লেনদেন করা অন্য দেশের ওপরও প্রয়োগ করা যেতে পারে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র এস ৪০০ কেনার জন্য তুরস্ককে অনুমোদন দেয়। নয়াদিল্লি ২০১৮ সালে মস্কোর সঙ্গে এই শক্তিশালী অস্ত্রের জন্য ৫শ৩০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে। রাশিয়া গত বছরের নভেম্বরে ভারতে অস্ত্রব্যবস্থাটির সরবরাহ শুরুও করেছে।

নয়াদিল্লি আত্মবিশ্বাসী ছিল যে, কোয়াড গ্রুপসহ ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন প্রশাসন এস-৪০০  চুক্তির জন্য একটি ব্যতিক্রম করবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ