রামেক হোস্টেলে ছাত্রলীগ-শিবিরের সংঘর্ষ, গ্রেফতার চার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে (রামেক) ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রশিবির রামেক শাখার প্রাক্তন সভাপতি হেলালসহ চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছেপুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটা সংঘর্ষের সময় ছাত্রশিবিরের কর্মীরা চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পরে রাত আড়াইটা পর্যন্ত কলেজের নূর উন নবী হলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ চাইনিজ কুড়াল ও জিহাদি বই জব্দ করেছে। পুলিশ ছাত্রশিবির রামেক শাখার সাবেক সভাপতি হেলালসহ চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টি খেলায় বাংলাদেশ বিজয়ী হলে রামেক পিংকু হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা উল্লাস করে। এ সময় ছাত্র শিবিরের কর্মীরা সেখানে কটূক্তি করেন। এতে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও সংঘর্ষ বা‍ধে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। রাতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়ছে বলেও জানান রাজপাড়া থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।

ছাত্রলীগ সভাপতি অপু জানান, একপর্যায়ে ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্রশিবির নেতা-কর্মী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকশ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী সংগঠিত হয়ে ছাত্রশিবিরকে প্রতিরোধ করেন। এ সময় ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীরা আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে শহিদ জামিল আখতার রতন হোস্টেল ত্যাগ করে।

অভিযানে অংশ নেওয়া রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার ইবনে মিজান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, রাত ২টার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শহিদ জামিল আখতার রতন হোস্টেল থেকে ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীরা চলে যাবার সময় গুলিবর্ষণের বিষয়টি স্পর্শকাতর। গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত শিবির কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

 

স/আ