রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধাপ ফেলানোর জায়গা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাঘের শুরুতেই রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। দেশের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রও রেকর্ড করা হয়ে রাজশাহীতে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে গত কয়েকদিনের কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় মানুষ যেন জুবুথুবু। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ছে শীত জনিত রোগ-বালাই। ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, চর্মরোগসহ শীতকালীন নানা ধরনের রোগ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে ব্যাপক হারে। বিশেষ করে শিশুদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টসহ রোগীর ভর্তি বেড়েছে। শিশুদের প্রতিটি ওয়ার্ডেই শয্যা না থাকায় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতেই। যেন ধাপ ফেলানোর জায়গা নাই।

চিকিৎসকরা বলছেন, শীত আরও বাড়লে রোগীর সংখ্যাও বাড়বে। তবে আশার কথা হলো গতকাল সোমবার রাজশাহীতে পরিমাণ অনেক কম ছিলো।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দেওয়া তথ্য মতে, সোমবার ২৪ ঘন্টায় ৪৫ টি শিশু ভর্তি হয়েছে। হাসপাতলে এখন ভর্তি আছে ১২৫ শিশু। এদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী আছে ৬৫ জন। গত শুক্রবার এখানে ভর্তি ছিলো ৬২ জন। বৃহস্পতিবারে ডায়রিয়ার রোগী ছিলো ৫২ জন। বুধবার রোগী ভর্তি ছিলো ৫৬ জন। তবে তুলনা মূলক নিউমোনিয়া রোগী নেই বললেই চলে। হাসপাতালে রোগী আছে মাত্র ৯ জন।

রোগী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাধারণত যেসব রোগ দেখা দেয়, সেসব রোগীই তুলনামূলকভাবে বেশি। ঠাণ্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা শীতের কারণে দ্বিগুণ বেড়েছে। সকাল আটটার দিকে রোগীর সংখ্যা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক পার্থ মনি জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসছে। সেবা দিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে নবজাতকদের। শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, আমাদের এখানে রোগীদের চেয়ে শয্যা এমনিতেই কম। তারপরও শীতের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডেই রোগীর চাপ বেশি। প্রায় দ্বিগুন তিনগুন রোগী আছে ওয়ার্ডগুলোতে। এই মধ্যেই আমরা তাদের সেবা দিতে চেষ্টা করছি।’ আমার শিশুদের জন্য ১৫টি রুম হিটার লাগিয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি বারান্দার জন্য আমার কাঁচ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তিনি বলেন, ‘শীতে রোগী এখানে বাড়ে। ডায়রিয়াটাই এখানে বেশি হয়। বর্তমানে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ শিশু প্রতিদিনই ডায়রিয়ার রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে। এছাড়াও স্বাশকষ্ট ও বৃদ্ধদের শীত জনিত রোগীও বেড়েছে।