রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবায় ভোগান্তি

নূপুর মাহমুদ:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এ ইউনিটে জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবায় ভোগান্তি রয়েছে। একজন সহকারী অধ্যাপক, একজন রেজিস্ট্রার ও দুইজন সহকারী রেজিস্টারসহ মোট চারজন চিকিৎসক দিয়ে চালানো হচ্ছে বার্ণ ইউনিটের কার্যক্রম। নেই পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

বুধবার ইউনিটটি ঘুরে দেখা যায়, ৪৭ শয্যার বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৭ জন রোগী।ডায়াবেটিক আর সার্জারি বা দগ্ধ হয়ে এ ইউনিটে তারা ভর্তি হয়েছেন। স্বল্প পরিসরে শুরু হওয়া এ ইউনিটটি এখন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আলাদা কোনো অপারেশন থিয়েটার নেই এ ইউনিটে। এখানে একটি মিনি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটের আনুষঙ্গিক সুবিধা বাড়ানোর দাবি উঠেছে।

এ ইউনিটে পরিচ্ছন্নতাকর্মী খুবই কম। যেখানে এই সুবিধাটা পাচ্ছেন না রোগি ও তাদের স্বজনরা। এতে ডাক্তার-নার্সদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভর্তি আছে ৩৭ জন রোগী। তাজরুন খাতুন তার শিশু কাফিকে নিয়ে ভর্তি আছেন এখানে। তিনি জানান, ৩ বছরের শিশুটি ধানমাড়াই করা মেশিনে হাত দিয়ে দিয়েছিল। এতে অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কথা হয় হাসপাতালের বার্ন ও সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক আফরোজা নাজনীনের সাথে। তিনি বলেন, এ ইউনিটে রোগীর অনেক চাপ। অনেক সময় বেশি খারাপ অবস্থাতেও রোগি আাসে। সুসাইড রোগিরা অনেক সময় মারা যায়। এখানে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু জনবল না থাকায় অনেক সময় চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাই। তবে তা কোনো না কোনো মাধ্যমে পূর্ণ করে দেন তারা বলে দাবি করেন তিনি।

এ ইউনিটের ইনচার্জ মনরমা খাতুন মোনোয়ারা বলেন, এ ইউনিটের রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। ড্রেনের মধ্যে ও টয়লেটে ব্যান্ডেস ও কাপড় ফেলে দেয় রোগী ও স্বজনরা। এতে খুবই বাজে দুর্গন্ধ থাকে। এতে অনেক সমস্যা হয় রোগীদেরই।

তিনি জানান, এখানে তেমন কোনো পরিছন্নতাকর্মী নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সবাইকে। একজন সহকারী অধ্যাপক, একজন রেজিস্ট্রার ও দুইজন সহকারী রেজিস্টারসহ মোট চারজন চিকিৎসক দিয়ে চালানো হচ্ছে বার্ণ ইউনিটের কার্যক্রম। নতুন ইউনিট চালু থেকেই এখানে রোগীর চাপ বেশি। এত কিছুর পরও রোগীদের সাধ্যমত সেবা দিচ্ছেন তারা। তবে এই ইউনিটে একটি ইমারজেন্সি বড় অপারেশন থিয়েটার দরকার বলে জানান তিনি।

 

স/শা