রাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিবের ওপর হামলা, থানায় আলাদা দুই অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রস্তুতি সভা চলাকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুদ্দীন চৌধুরী সানিনের ওপর হামলা ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সানিনকে আহতাবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, মেহেদী হাসান, আব্দুল লতিফ সম্রাট, হাসিবুল হাসান হাসিব, মো. আহসান হাবীব, মো. নাঈম, তুষার শেখ, শফিকুল ইসলাম শফিক, তাকবীর আহমেদ ইমনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন। এই ঘটনার আগে, রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহির শাওনকে মারধরের অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ সম্রাট, মেহেদী হাসান এবং শফিকুল ইসলাম শফিককে বহিষ্কার করা হয়। কিন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদল গত ১৬ নভেম্বর তাদের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেন।

সদস্য সচিব সামসুদ্দীন চৌধুরী সানিন বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা করছিল ছাত্রদল। সভার একপর্যায়ে ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি আমার ওপর হামলা করেন। ভাঙচুর করা হয় কার্যালয়ের চেয়ার। এ ঘটনায় আমি ওইদিন রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় বাদি হয়ে অভিযোগ দিয়েছি। হামলায় যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম, সম্রাট আবদুল লতিফদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অংশ নেন। তারা অন্য দলের এজেন্ট।

অভিযুক্ত হাসিবুর হাসান হাসিব বলেন, হামলার দিন আমি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম না। আরেক নেতা মেহেদী হাসান বলেন, আমরা ১৭ জন সানিনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছি। একপর্যায়ে কার্যালয়ে অধিকাংশ নেতাকর্মীরাই তাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। প্রস্তুতি সভা থেকে আমি বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পরে সেখানে কি হয়েছে জানি না।

এছাড়াও এ ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ আরিফুল ইসলাম বনি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে ৮ জন আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জি/আর