রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, লিগ্যাল নোটিশ প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের উপাচার্য পদে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। এতে বলা হয়েছে অধ্যাপক আব্দুস সোবহান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে উপাচার্য পদে বহাল আছেন।

সেই সঙ্গে নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণ করে তা লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুুধবার (১৫ মে) বিকালে নোটিশটি পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ২০১৭ সালের মে মাসের ৭ তারিখে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে আব্দুস সোবহানকে নিয়োগ প্রদান করেন। সেদিনই তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে জুনের ২১ তারিখ দুপুরে উপাচার্য থেকে বিভাগে (ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং) অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ওইদিন বিকালেই স্বেচ্ছায় বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এতে করে উপাচার্য পদে সাময়িক শূন্যতা সৃষ্টি হয়। সেখানে রাষ্ট্রপতির বিনা অনুমতিতে একদিনের জন্য তৎকালীন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আখতার ফারুককে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও নীতিবিরোধী। ২১ জুন বিকালেই পুনরায় তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

উপাচার্যের স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ সংক্রান্ত দলিলাদি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের অসাধারণ (এক্সটা অর্ডিনারি) সভার কার্যবিবরণী থেকে প্রতীয়মান হয় যে, অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩’ লঙ্ঘন করে এবং প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং উপাচার্য পদে বহাল আছেন।

আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৪ জুন এক পত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন তিনি ২৯ তারিখে অবসর গ্রহণ করবেন। রাষ্ট্রপতি সেটা গ্রহণ করেন। কিন্তু এর আগে ২১ তারিখেই তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে সত্য গোপন রেখে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের সালমান ফিরোজ ফয়সালের পক্ষে আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম এই নোটিশ প্রেরণ করেন। অধ্যাপক আবদুস সোবহান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতির কাছে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক শাহীন জোহরা এ বিষয়ে এখনও কোনো নোটিশ পাননি বলে প্রতিবেদককে জানান। এ বিষয়ে জানতে রাতেই উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানকে ফোন করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

স/অ