রাবির ভর্তি পরীক্ষা: বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলের দায়িত্বে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় নিজ বিভাগের তিন শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষার হলে সহায়ক কর্মচারীর দায়িত্ব পালন করিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।

বুধবার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় নিজস্ব ক্ষমতাবলে তাদেরকে এ দায়িত্ব পালন করান তিনি। এ ঘটনায় ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবক ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

তারা মনে করছেন, পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুধুই দায়িত্ব পালন নাকি জালিয়াতির সহায়তা করতেই এ দায়িত্ব সেটাই এখন ভাবনার বিষয়।

ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা অনুসারে, পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষক ও কর্মচারী ছাড়া একাডেমিক ভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। নীতিমালা ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষার হলের দায়িত্ব পালন করানোর বিষয়টি এবারই প্রথম বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওই সময়ে কোনো দায়িত্ব ছিল না। তাদের পরীক্ষার হলে দায়িত্ব না দিয়ে প্রক্টর নিজ বিভাগের ছাত্রদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করিয়েছেন, যা নজিরবিহিন এবং এখানে কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।

জানা যায়, বুধবার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় ওই তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে জাকির হোসেন দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের ৩৩৪ নম্বর কক্ষে, আব্দুর রহমান ও মো. সোহেল তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের ৪২৪ ও ৪২৫ নম্বর কক্ষে সহায়ক কর্মচারীর দায়িত্ব পালন করেন। তারা তিনজনই তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পরীক্ষা শেষে প্রত্যেকের হাতে তিনটি ৫০০ টাকার খাম ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দায়িত্ব পালনকারী জাকির হোসেন সিল্কসিটি  নিউজকে বলেন, ‘আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে প্রক্টর স্যারের কাছে নাম দিয়েছিলাম। এজন্য স্যার আমাদেরকে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করিয়েছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হয়ে এ ধরনের কাজ কিভাবে করলেন সেটা আমার মাথায় আসছে না। এটাবিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক।’

এ ব্যাপাারে প্রক্টর সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘মানবিক কারণে ওই ছাত্রদের সহায়তার জন্য এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। অন্যকিছু নয়।’

জানতে চাইলে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘আমার কাছে এ ধরণের তথ্য এখনো আসেনি। তবে এটা যদি হয়ে থাকে চরম অন্যায় ও খারাপ হয়েছে। এটা মোটেই ঠিক হয়নি। কারো সহযোগিতার দরকার হলে অন্য উপায়েও করা যেতো।’

স/অ