বৃহস্পতিবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৭ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাবির ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় একাধিক জালিয়াত চক্র

Paris
অক্টোবর ১৯, ২০১৭ ১:১১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রতিবারের মতো এবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় রয়েছে একাধিক জালিয়াত চক্র। শিফট পদ্ধতিতে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ বছর চক্রটি জালিয়াতির নয়া কৌশল এঁকেছে বলেও গোপন সূত্রে জানা গেছে। ভর্তি করিয়ে দেওয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চক্রগুলো। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসন বলছে, সকল প্রকাল জালিয়াতি ঠেকাতে এ বছর ক্যাম্পাসজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরোপ করা হয়েছে।

আগামী ২২ অক্টোবর ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা। চলবে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চালু করায় তিন লাখেরও অধিক শিক্ষার্থী আবেদন করে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চক্রগুলো এবার জালিয়াতির কৌশলে পাল্টিয়ে বেশ কয়েকটি ধাপে প্রতারণার কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে। এই চক্রের সদস্যদের কেউ মাঠ পর্যায়ে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করে। আবার কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় পরীক্ষার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে প্রশ্ন হাতে নেয়। আরেকটি পক্ষ বিভিন্ন কোচিংয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক দিয়ে দ্রুত প্রশ্নের সমাধান করে। এরপর মোবাইলে এসএমএস, ভাইবার বা অন্য কোন ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহ করে। এ ছাড়াও পরীক্ষার হলে অন্য আরেকজনকে প্রক্সি হিসেবে পাঠিয়ে চান্স পাইয়ে দেওয়ারও চুক্তি করে চক্রগুলো।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষায় ডিভাইসের মাধ্যমে বড় ধরনের জালিয়াতি করার ছক আঁকছে চক্রগুলো। ভর্তি পরীক্ষার আগে অন্তত দুইশটি ডিভাইস রাজশাহী শহরে ঢুকছে। ডিভাইসগুলো সূক্ষ্মভাবে ভর্তিচ্ছুদের কানের মধ্যে স্থাপন করে বাইরে থেকে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করা হয়।

প্রশাসনের কড়া নজরদারির পরও গত বছর ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন চক্রের প্রায় অর্ধ শতাধিক সদস্যকে আটক করা হয়। তখন এসব চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও বহাল তবিয়তে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে চক্রগুলো।

ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মো. সায়েম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীরা আসবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পরীক্ষায় জালিয়াতি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেধাবী শিক্ষার্থী হারাচ্ছে। এটা বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জালিয়াতি ঠেকাতে পরীক্ষার হলে মোবাইল, ক্যালকুলেটর, ঘড়িসহ সকল প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, এ বছর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের অনেকগুলো সেট করা হবে। যার ফলে আগে থেকে তৈরি করা উত্তরপত্র নিয়েও লাভ হবে না। প্রতারকরা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে দিতে পারবে বা প্রশ্ন দিতে পারবে বলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। এজন্য প্রতারক চক্র থেকে ভর্তিচ্ছুদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষকরা।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের জালিয়াতি ঠেকাতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নের পাশাপাশি রোভারস্কাউট, বিএনসিসি ও গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়াও সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে।’

স/বি

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর