রাবির ভর্তি কার্যক্রমে পঞ্চম ধাপের মতো মেরিটলিস্টের দাবি

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের প্রায় শতাধিক আসন ফাঁকা আছে। এই আসনগুলোতে আর ভর্তি নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে ৫ম ধাপের মতো মেরিটলিস্ট চান ওয়েটিং লিস্টে থাকা শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে। সে সময়ও সব আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটে ১২৭টি, ‘বি’ ইউনিটে ৯৫টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ১৫৫টি আসন ফাঁকা ছিল। পরে কয়েকবার ভর্তির সময়সীমা বাড়িয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

সর্বশেষ তথ্যমতে, এ বছর ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটে চার হাজার ১৭৩ আসন সংরক্ষিত ছিল। যেখানে ‘সি’ ইউনিটে কোনো আসন আর ফাঁকা নেই। তবে ‘বি’ ইউনিটে ১০টি এবং ‘এ’ ইউনিটে প্রায় ৮০টির মতো আসন ফাঁকা রয়েছে। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ওয়েটিং লিস্টে আছেন রুবায়েত হাসান ফাহিম।

তিনি জানান, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে ৬৬.৩৫ নম্বর পাই। আমার সাবজেক্ট ওয়েটিং ৩ নম্বর রয়েছে। এমন অবস্থায় মেরিট দিলেই আমি সুযোগ পাবো। আমার মতো অনেক শিক্ষার্থী যারা সাবজেক্ট ওয়েটিং ১ম ও ২য় নম্বর আছে মেরিট দিলেই স্বপ্ন পূরণ হবে।

মেহেদী হাসান হৃদয় নামের ওয়েটিং লিস্টে থাকা আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সাবজেক্ট পাবার খুব কাছে থেকেও মেরিট না দেওয়ায় সাবজেক্ট পাচ্ছি না। এমন অবস্থায় রাবি প্রশাসন যদি ওই ফাঁকা আসনগুলো পূরণ করতো তাহলে আমার মতো অনেকর স্বপ্ন পূরণ হতো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রতি বছরই কম-বেশি আসন ফাঁকা থাকে। আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে মাইগ্রেশন হয়ে অনেক শিক্ষার্থী তাদের পছন্দের তালিকার ওপরের সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ পায়। এভাবে প্রতিবছর ভর্তি কার্যক্রম শেষে কিছু আসন ফাঁকা থেকে যায়।