মঙ্গলবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাবিতে সংবাদ সম্মেলনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন শিক্ষকেরা

Paris
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
বিভাগের একপক্ষের শিক্ষকদের করা সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের শিক্ষকদের ওইপক্ষ এসে সভাপতিসহ উপস্থিত অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে বিবাদ শুরু করে দেন। একপর্যায়ে শিক্ষকদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে পণ্ড হয়ে যায় সংবাদ সম্মেলনটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভাগের অধ্যাপক আলী আসগরের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জুলাই হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন। এরপর থেকেই বিভাগের দুইপক্ষের শিক্ষকেরা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলতে শুরু করেন।

আজ সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে প্ল্যানিং কমিটির সদস্যদের ২২ ডিসেম্বর ৫৭তম সভায় ও ২৬ ডিসেম্বর ৫৮তম সভায় আহ্বান করি। কিন্তু সদস্যরা কেউ সভায় উপস্থিত হননি। পরে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সভা সম্পন্ন করি।
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে বিভাগের শিক্ষক কাওছার আলী, নূরুল আলমসহ কয়েকজন এসে সাইফুল ইসলাম, যুগোল কুমার সরকার, একেএম আব্দুল বারীসহ উপস্থিত শিক্ষকদের দাবিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। এ সময় দু’পক্ষের শিক্ষকেরা পরস্পরকে দোষারোপ করা নিয়ে তর্ক শুরু করেন। উচ্চবাচ্য বিনিময়ের একপর্যায়ে শিক্ষকেরা একে-অপরের মধ্যে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন।

এর আগে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) অধ্যাপক আলী আসগর, নূরুল আলমসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম গত ২২ ও ২৬ ডিসেম্বর বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির দু’টি সভা ও রেজুলেশন দেখিয়েছেন। আমরা প্ল্যানিং কমিটির সদস্য। কিন্তু এই সভার আমন্ত্রণপত্র সভার পূর্বে পাইনি। বিভাগে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম প্ল্যানিং কমিটির ৫৭ ও ৫৮তম সভায় সদস্যদের ডাকেননি। অথচ তিনি সভায় সদস্যদের উপস্থিত দেখিয়েছেন।

হাতাহাহির একপর্যায়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা শিক্ষকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষকেরা ক্রমেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর দু’পক্ষের শিক্ষকেরাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

 

স/শা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর