বুধবার , ২৬ জুলাই ২০২৩ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাবিতে শিক্ষকের হাতে সহকর্মী লাঞ্ছিত

Paris
জুলাই ২৬, ২০২৩ ৭:২৩ অপরাহ্ণ

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান এবং ভুক্তভোগী শিক্ষক একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সামিউল ইসলাম।

ভুক্তভোগী এ বিষয়ে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৫ জুলাই সকাল ৯টায় ২০২২ সালের এম.এ পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. হোছাইন আহমদ কামালীর ব্যক্তিগত চেম্বারে পরীক্ষা কমিটির সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে পরীক্ষা কমিটির সভাটি করাতে চান।

ভুক্তভোগী শিক্ষক পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে পূর্ব নির্ধারিত কক্ষে মিটিংটি করার কথা বললে, বিভাগীয় সভাপতি ধমকের সাথে তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পরীক্ষা কমিটির সভা বিভাগের সভাপতির কক্ষে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের সামনেই হবে। পরে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকের হাতে আঘাত করেন বিভাগের সভাপতি। তখন তার হাতে থাকা চায়ের কাপসহ তিনি টেবিলে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে তার আঙ্গুল কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। ঘটনার সত্যতা জানতে পরীক্ষা কমিটির সদস্য মোকাররম হোসেন মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিভাগের সভাপতি বলেছেন পরীক্ষা কমিটির সভা তার রুমে হবে৷ তখন সামিউল স্যার বলেছেন পরীক্ষার কমিটির মিটিং পরীক্ষা কমিটির বাহিরে অন্য কারো সামনে হতে পারে না।

পরে বিভাগের সভাপতি সামিউল স্যারকে বলছে ‘সামিউল মিটিং আমার সামনে এখানে হবে। আমি সভাপতি, আমার আদেশ সভা এখানেই হবে’। এখান থেকে তর্ক বিতর্ক শুরু। এরপর এক পর্যায়ে তারা সভাপতির রুম ছেড়ে বিভাগের অফিস রুমে চলে যান। তারপর জোড়ে একটা শব্দ হয়। তখন আমরা অফিস রুমে এসে দেখি রক্ত পড়ে আছে এবং সামিউল স্যারের হাত কাটা৷ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষক সামিউল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা কমিটির সভার গোপনীয়তা রক্ষার জন্য আমি পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে তার ব্যাক্তিগত কক্ষে সভা করতে বলার পর, বিভাগের সভাপতি আমার উপর চড়াও হন। পরে আমাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি আমার হাতে আঘাত করলে আমি টেবিলে আঘাত পাই। তখন আমার হাতে চায়ের কাপ ছিল। কাপটি ভেঙ্গে আমার হাত কেটে যায়। বিভাগের সভাপতি নিয়মিতভাবেই সহকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে থাকেন। এ বিষয়ে জানতে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. হোছাইন আহমদ কামালীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, নিজেকে বাঁচানোর জন্য উনি এই অভিযোগটি করেছেন। আমাকে আঘাত করতে এসে টেবিলে আঘাত করে। ফলে তার হাতে থাকা চায়ের কাপ ভেঙ্গে তার হাত কেটে যায়।

এখন আমার বিরুদ্ধে দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ আনা হচ্ছে। তারা নিজেরাই খারাপ আচরণ করেছে। পরীক্ষা কমিটির কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের বিষয়ে সভাপতি বলেন, ২০২২ সাথে এমএ পরীক্ষা কমিটির যে সভাকে নিয়ে এ ঘটনা সেই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন কামালী স্যার। আর যিনি অভিযোগ করেছে তিনি সহ আরো দুইজন ছিলেন সদস্য। কামালী স্যার বলেন যে তিনি তার রুমে মিটিং করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই সভাপতির রুমে মিটিং করতে চান। তারপর সেখানে আমি তাদের মিটিং করতে দিয়ে পাশের অফিস রুমে অপেক্ষা করতে থাকি। হুট করে একসময় আমাকে বলে এখানে কেন সভা হবে। তখন আমি বলি তুমি পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলো। আমি পরীক্ষা কমিটির কেউ না। তারা নিজেরা গণ্ডগোল করে এখন আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, উর্দু বিভাগের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর