নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা এবং বিক্রির ঘটনায় এক দোকানিকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক হাসান আল মারুফ মেয়াদোত্তীর্ণ বিরোধী অভিযান শেষে দোকানিকে এ অর্থদ- করেন।
একইসঙ্গে আগামী দশদিন দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশও দেন তিনি। এ সময় দোকানের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যগুলো নষ্ট করা হয়।
দোকানির নাম নিজাম উদ্দিন আলম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের ফুড কর্নারের মালিক। এর আগেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতি ও প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করায় দুইবার তার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা য়ায়, মঙ্গলবার দুপুরে দুই শিক্ষার্থী ওই দোকান থেকে কোমল পানীয় কেনেন। পণ্যটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় তারা দোকানীকে কেন মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখা হয়েছে জিজ্ঞেস করে। একপর্যায়ে দোকানির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাক-বিত-া শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে হাসান আল মারুফ সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবীরের উপস্তিতিতে দোকানে অভিযান চালান। এ সময় তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যগুলো নষ্ট করা হয়।
তবে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন আলম। তিনি বলেন, ‘কোম্পানিকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ফেরত দেওয়ার জন্য আমি সেগুলো আলাদা করে রেখেছিলাম। কোন পণ্য বিক্রি করিনি। বাকি দেইনি বলেই শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে ঝামেলা করেছে।’
এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ওই দোকানে সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তারা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহীর ম্যাজিস্ট্রেটকে বিষয়টি জানালে তারা ওই দোকানে অভিযান চালান।’
স/অ