রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা: নগরীতে আবাসিক হোটেলের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নগরীতে এসছে হাজারও শিক্ষার্থী। বর্তমানে এই সকল শিক্ষার্থীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধের এই পরীক্ষায় অংশ নিতে তারা নগরীর বিভিন্ন হোটেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হোস্টেল ও মেসে থেকে শুরু করে পরিচিত আত্মীয়-স্বজনদের বসতবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

আর যাদের আত্ময়-স্বজন নাই তারা উঠেছেন, বিভিন্ন হোটেলে। হোটেল মালিকরা সেই সুবাদে রমরমা বাণিজ্যে শুরু করেছে। মাত্র দু’এক দিনের জন্য শিক্ষার্থীসহ্ তাদের পরিবার পরিজনরা আবাসিক হোটেলে থাকতে দ্বিগুন পরিমাণে ভাড়া নিচ্ছেন নগরীর হোটেল মালিকরা।

নগরীর অভিজাতও প্রথম শ্রেণীর হোটেল গুলো অনেক আগেই বুকিংহয়ে গেছে। বর্তমানে যে মাঝারিও ছোট হোটেল গুলো রয়েছে এর ভাড়াও এখন আকাশচুম্বি- স্বাভাবিকভাড়ার চেয়ে প্রায় তিন থেকে চারগুন বেশি।

নগরীর মণিচত্বর এলাকায় হোটেল সোনাদিঘীরভাড়া ভর্তি পরীক্ষার আগে ছিলো ৬০০ থেকে ৭০০টাকা কিন্তু বর্তমানে এই ভাড়া এসে দাড়িয়েছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। একইভাবে নগরীর হোটেলসুরমায় ভাড়া যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ৪০০ টাকা বর্তমানে তা দাড়িয়েছে ১২০০ টাকায়, এদিকে হোটেল প্রবাসির স্বাভাবিকসময়েরভাড়া যেখানে ৬০০ থেকে ৭০০ বর্তমানে তা ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। ভর্তি পরীক্ষার আগে সময় গুলোতে দেখা গেছে এই সকল হোটল গুলো বেশির ভাগ সময়ে ভাড়া না পাওয়ায় ফাঁকা পড়ে থাকতো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময় হলে হলেই এই সকল হোটেলরে চাহিদা বেড়ে যায়,কয়েকগুন আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হোটেল মালিকরা আদায়করে গলাকাটা ভা[ড়া।

নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোর অতিরিক্ত এই ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগকরেছে অবস্থনরত অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। তারা বলেন আবাসিক হেটেলগুলোরএকটি সুনির্দিষ্ট ভাড়া হওয়া উচিত, যাতেকরে কোনশিক্ষার্থীকে হোটেল ভাড়া নিয়ে বিড়াম্বনায় পড়তেনা হয়।

 

স/আ