রাবিতে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে দুর্নীতি জড়িতদের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন


রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকা শিক্ষকদের চাকরি থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।  সোমবার  সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যমঞ্চ ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, স্মৃতিফলকটি নির্মাণে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে ১৪শ কেজি তামার ব্যবহার করার কথা ছিল সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র ৪৯২ কেজি। এছাড়াও স্মৃতিফলকে টেম্পার্ড গ্লাস ব্যবহার করার কথা থাকলেই তা করা হয়নি।

তারা আরো বলেন, স্মৃতিফলকের রিলিফ ভাস্কর্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ছিল না। অথচ স্মৃতিফলকের বাঁ পাশে এবং নিচে বঙ্গবন্ধুর রিলিফ ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যম জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয়েছে। যেটি কোনো প্রগতিশীল শিক্ষকদের কাজ হতে পারে না। তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রগতিশীলতার নাম ব্যবহার করছে। যা আমাদের সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেয়। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে অনিয়মে জড়িতদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনতে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান।

রাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক এ এন এম ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য দেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তারেক নুর, আমিনুর রহমান, চারুকলা অনুষদের হুমায়ুন কবির, ইতিহাস বিভাগের চিত্তরঞ্জন মিশ্র, নাট্যকলা বিভাগের আরিফ হায়দার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ রওশন জাহিদ, হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাবি শাখা বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাবি শাখা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাবেক সভাপতি ও এম ফিল ফেলো মতিউর মর্তুজা প্রমুখ বক্তব্য দেন। মানুববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. শামীম হোসেন।

উল্লেখ্য, বছরজুড়ে রাবির বর্তমান ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ও সাবেক ভিসি অধ্যাপক মিজানউদ্দিনের অনুসারী শিক্ষকরা একে অপরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করে আসছিলেন। অধ্যাপক আব্দুস সোবহান দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসির দায়িত্ব গ্রহণের পর স্মৃতিফলকে অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেন। কমিটি অনিয়মের প্রমাণ পায়।

এদিকে, অধ্যাপক মিজানউদ্দিনের অনুসারী শিক্ষকদের করা বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। এরপর থেকে অধ্যাপক মিজানউদ্দিনের অনুসারী শিক্ষকদের মধ্যে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকা শিক্ষকদের বহিষ্কার দাবি জানিয়ে আসছে অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের অনুসারীরা।

স/আ.মি