রাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের মানববন্ধন 

রাবি প্রতিনিধি:
ভয়াবহ লোডশেডিং, নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, বিরোধী মত দমনে হামলা–মামলা–গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবীতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ বুধবার (৭জুন) সকাল ১১টায় সিনেট ভবনের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মামুন-উর-রশিদ বলেন, অসহনীয় লোডশেডিং, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, গুম খুন, মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আমাদের আজকর কার্যক্রম। একটা সরকার যতগুলো স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, আজকের বাংলাদেশ সরকারের সে সব স্তম্ভই চুরমার হয়ে গেছে। আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে এই সরকার পদত্যাগ করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবে।’
এছাড়াও প্রফেসর ড. এম. রেজাউল করিম বলেন, ‘ এই সরকারের অপকর্ম, প্রশাসনের দুঃশাসনের প্রতিবাদে এবং একটি কেয়ার টেকার সরকারের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আমাদের কার্যক্রম। ক’দিন আগে ভারতের সংসদে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে সেই ম্যাপে বাংলাদেশকে ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। আরও কয়েকটি দেশকে দেখানো হয়েছে, নেপালকে দেখানো হয়েছে। নেপাল ইতোমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি, ভারত এদেশকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করছে কিন্তু এই সরকার গাছের মতো ভূমিকা পালন করছে। কোনো ধরনের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই। এই সরকার লুটেরা সরকার, এই সরকার বিনা ভোটের সরকার। আজকে আমরা যে অসহনীয় লোডশেডিং এ ভুগছি এর কোনো কারণ থাকতে পারে না। সরকার যে পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। আর এই টাকা আমাদের ট্যাক্সের টাকা থেকে ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করছে। তো আমরা হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে কেন লোডশেডিং এ ভুগবো!
একসময় আমরা দেখেছি ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে, বিদ্যুৎ নেওয়ার লোক নাই। সেই ফেরিওয়ালাী আজকে কোথায়! আমরা জানতে চাই সেই ফেরির বিদ্যুৎ কোথায় গেল! এসব ভাঁওতাবাজি। আমরা কি বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ নিচ্ছি? আমরা কি বিল বকেয়া রেখেছি? তাহলে কেন কয়লা আসে না? তাহলে এই হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? এই টাকা বিদেশে পাচার করেছে, যার জন্য আমাদের এই গরমে সহ্য করতে হচ্ছে। এই সরকার আবার অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবীকে দিয়ে সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। এই ধরনের দালালদের এই দেশে স্থান হবে না। আমরা অনতিবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে কেয়ার টেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি।’
 আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর এনামুল হক, প্রফেসর ফজলুল হক, প্রফেসর জিয়াউল হক, প্রফেসর আমীরুল ইসলাম, প্রফেসর তৈয়ব, প্রফেসর ছরোয়ার জাহান লিটন, প্রফেসর কামরুজ্জামান, প্রফেসর মোহাম্মদ আলী
মানববন্ধন কর্মসূচির সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. পারভেজ আজহারুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।