সোমবার , ১২ নভেম্বর ২০১৮ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রানের পাহাড় গড়ে টাইগারদের ইনিংস ঘোষণা

Paris
নভেম্বর ১২, ২০১৮ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৫২২ রান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ৫০৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। এদিন সাকিবের ২১৭ রানের রেকর্ড ভেঙে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক হয়ে গেলেন ২১৯ রানে অপরাজিত মুশফিক। মিরাজ অপরাজিত রইলেন ৬৮ রানে। এটাও তার ক্যারিয়ারসেরা। ৮ম উইকেটে রেকর্ড ১৪৪ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করছে জিম্বাবুয়ে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যক্তিগত ৩৬ রানে জার্ভিসের বলে ধরা পড়লেন চাকাভার গ্লাভসে। এর সঙ্গে ভাঙে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি। এরপর টিকতে পারেননি আরিফুল হকও। মুশফিকের সঙ্গী হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির আগেই ছক্কা মেরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই অল-রাউন্ডার। এরপর মুশফিকের সেই মহাকাব্য।

পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। ঠিক ২০০ রান ছিল এতদিন তার সর্বোচ্চ ইনিংস। আজ সব রেকর্ড ভেঙে গেল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে খেলে ফেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এই ম্যাজিক্যাল মাইলফলকে পৌঁছতে মুশফিক খেলেছেন ৪০৭ বল; হাঁকিয়েছেন ১৬ টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারি। বাংলাদেশে আর কোনো ব্যাটসম্যানের দুটি ডাবল সেঞ্চুরি।

শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করল বাংলাদেশ। এদিন সাকিবের ২১৭ রানের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক হয়ে গেলেন ২১৯ রানে অপরাজিত মুশফিক। মিরাজ অপরাজিত রইলেন ৬৮ রানে। এটাও তার ক্যারিয়ারসেরা। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ৫১ রান করেছিলেন মিরাজ। সেই সঙ্গে ৮ম উইকেটে রেকর্ড ১৪৪ রানের জুটি গড়েন এই দুজন।

এর আগে গতকাল রবিবার প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ৩০৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে খাদ থেকে টেনে তুলেন মুশফিকুর রহিম এবং মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ২৬৬ রানের দুর্দান্ত জুটি। ১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৭ম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল হক। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। দিনের খেলার শেষভাগে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে রেখে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন মুমিনুল হক। তার ২৪৭ বলে ১৬১ রানের অসাধারণ ইনিংসে ছিল ১৯টি বাউন্ডারি।

মুমিনুলের পর সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিকও। ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ খেলেন ১৮৭ বল। হাঁকান ৮টি বাউন্ডারি। মুমিনুল আউট হওয়ার পর ৬ ওভার বাকী থাকায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে উইকেটে আসেন ‘নাইটওয়াচম্যান’ তাইজুল ইসলাম। ৪ রান করে জার্ভিসের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। রিভিউ জিতে তাইজুলকে প্যাভিলিয়নে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। দিনের বাকী সময়টা দুই ভায়রা-ভাই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ নিরাপদে কাটিয়ে দেন।

 

সর্বশেষ - খেলা