সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বিমানবন্দরের রানওয়ে থাকা মাস্ট৷ বিমান কিংবা হেলিকপ্টার দুটোই টেক অফ এবং ল্যান্ডিংয়ের সময় রানওয়েতে স্পিডে বেশ কিছুটা এগিয়ে যায় হেলিকপ্টার৷ কিন্তু হেলিকপ্টার টেক অফের আগে এবার আর প্রয়োজন পড়বে না রানওয়ের৷ বোয়িং আন্তর্জাতিক বাজারে আনতে চলেছে এমনই অভিনব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি হেলিকপ্টার৷
একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টারটির নাম x39B৷ হেলিকপ্টারের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন পথের দিশা দেখিয়েছে এই বোয়িং বিমান৷ কেউ কেউ এটিকে স্পেস প্লেনের সঙ্গেও তুলনা করছেন৷ সেনাবাহিনীর জন্যই মূলত তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ হেলিকপ্টারটি৷ এই হেলিকপ্টারটির টেক অফ কিংবা ল্যান্ডিং কোনও সময়ই রানওয়ের প্রয়োজন পড়বেনা৷ ভার্টিক্যাল অর্থাৎ উল্লম্বভাবে এটি আকাশের দিকে সোজা উপরে উঠে যাবে আবার অপরদিকে উল্লম্বভাবেই এটি ল্যান্ড করবে৷
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি একেবারেই স্মার্ট লুকিং এটি৷ এই এয়ারক্রাফটটি কালো রংয়ের৷ এই এয়ারক্রাফটটেই রয়েছে ইলেকট্রিক হেয়ারড্রায়ার৷ এই হেয়ারড্রায়ারের মারফতই হেলিকপ্টারটির টেক অফ এবং ল্যান্ডিং করবে৷ পাশাপাশি এই হেলিকপ্টারটির মধ্যে রয়েছে ফিক্সড উইং প্রযুক্তি৷ এছাড়াও রয়েছে দুটি বড় রিয়ার উইংস এবং দুটি ছোট কানারডাস৷ যা হেলিকপ্টারের সামনের দিকে রয়েছে৷ আজই পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হবে হেলিকপ্টারটি৷
তবে, এই প্রথম নয়৷ বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল বোয়িং৷ প্রায় ৮৯মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সাক্ষর করে এই দুই সংস্থা৷ কমার্শিয়াল এবং মিলিটারি বিজনেসের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উল্লেখ্য৷ কিন্তু পরবর্তীকালে এটি স্বশাসিত সংস্থা হয়ে যায়৷ বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে দেয়৷
