রাতের আঁধারে টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বগুড়ার শাজাহানপুরে টপ সয়েল (জমির উপরিভাগ) যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে করে একদিকে যেমন উর্বরশক্তি হারাচ্ছে কৃষি জমি অপরদিকে মাটিবাহী ট্রাকের বেপরোয়া যাতায়াতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভাট ও পরিবেশ। মাটি ব্যবসায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটছে সহিংসতা বিঘ্নিত হচ্ছে আইন-শৃংখলা।

ইটভাটার মালিকেরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অর্থের যোগান দিয়ে অসাধু মাটি ব্যবসায়ীদেরকে দিয়ে জমির মালিকদেরকে প্রলুব্ধ করে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। ভূমি আইন অমান্য করে বেপরোয়া ভাবে মাটি কাটা এবং এ নিয়ে আইন-শৃংখলার অবনতি হওয়ায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

উপজেলার মাঝিড়া, মাদলা, খোট্টাপাড়া, আশেকপুর, আড়িয়া, আমরুল ও চোপীনগর ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক মাটির পয়েন্ট থেকে ট্রাক লাগিয়ে এসকেভটর দিয়ে রাতে দিনে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সাজাপুর, সুজাবাদ, খলিশাকান্দি, জোকা, জালশুকা খাউড়া ব্রীজ, কামারপাড়া, চোপীনগর, দরিকুল্যা, কচুয়াদহ রঙ্গীলা ব্রীজ, মাদলা মালীপাড়া, নিশ্চিন্তপুর নন্দপাড়া, রাধানগর, পারতেখুর, চকজোড়া সহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসকেভটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।

এতে করে ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে কৃষি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা-ঘাট। হুমকির মুখে পড়েছে খাউড়া, দুবলাগাড়ী, কচুয়াদহ রঙ্গীলা ও ডেমাজানী ব্রিজ। বিপর্যস্থ হয়েছে পড়েছে পরিবেশ। মাটি কাটা নিয়ে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুবলাগাড়ী ও খলিশাকান্দি গ্রামে ঘটেছে পাল্টাপাল্টি মারপিট, হামলা, ভাংচুর। বিঘ্নিত হচ্ছে আইন-শৃংখলা।

এমতাবস্থায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা লিজা জানান, এই সমস্যার সমাধান করা প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। স্থানীয়দের সচেতন হতে হবে। মামলা দিতে হবে। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যহত আছে এবং থাকবে।