রাণীনগরে সরকারি রাস্তার ইটে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ

রাণীনগর প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের মালঞ্চি গ্রামে সোলিং রাস্তার নির্মাণকাজ চলছে। ওই রাস্তার উঠানো সরকারি ইট দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের প্রভাবশালী আনোয়ারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই গ্রামের আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোনা ইউনিয়নের মালঞ্চি গ্রামের ভিতরে ৭০০ ফুট ইট সোলিং রাস্তার ইটগুলো তুলে ফেলে এলজিএসপির আওতায় চলতি অর্থবছরে সেখানে সিসি ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। রাস্তার পূর্ব ব্যবহৃত প্রায় ১০ হাজার ইট ওই গ্রামের অন্যান্য রাস্তার উন্নয়নকাজে ব্যবহারের জন্য একটি ফাঁকা জায়গায় রাখা হয়। কিন্তু কাউকে কিছু না জানিয়ে ইট নিয়ে গিয়ে বাড়ি নির্মাণকাজে ব্যবহার করছেন ওই গ্রামের ইদন আলীর ছেলে প্রভাবশালী আনোয়ার হোসেন। গ্রামের লোকজন তাকে ইট নিয়ে যেতে নিষেধ করলেও কাউকে তোয়াক্কা না করে তিনি বাড়ির কাজে ইট ব্যবহার করতে থাকেন। এতে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই গ্রামের আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগকারী আসাদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আশাকরি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনের মন্তব্য জানার জন্য সরেজমিনে তার বাড়িতে গেলে তিনি বাড়িতে না থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে আনোয়ার হোসেনের পরিবারের লোকজনের দাবি- বাড়ির কাজ করা হচ্ছে না, গরু রাখার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলার গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খান হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ইটগুলো গ্রামের উন্নয়ন কাজের জন্য সেখানে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে আনোয়ার ইট নিয়ে গিয়ে বাড়ির গরু রাখার জায়গার কাজে ব্যবহার করছে সেটা আমাকে কেউ আগে বলেনি। বিষয়টি অনেক পরে আমাকে জানানো হয়েছে। আনোয়ারকে বিষয়টি বলার পর তিনি ইট কিনে দিতে চেয়েছেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পর উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

স/শা