রাণীনগরে মুকুলেঘেরা আমগাছ, এ বছর ভাল উৎপাদনের আশা

রাণীনগর প্রতিনিধি:

এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। তবে শীতকাল শেষের পথে। এরই মধ্যে প্রকৃতির পালাবদলে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মুকুল এসেছে আমের গাছে গাছে। আর আমের মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ মৌ করছে চারপাশ। এখন বসন্ত জানান দিচ্ছে। আমচাষি ও কৃষিবিদরা আশা করছেন, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার আমের ফলন ভালো হবে। চাষী ও বাগান মালিকেরা এখন আম বাগান পরিচর্যা করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করছেন আমচাষিরা।

জানা গেছে, এই উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষের তেমন কোন আগ্রহ না থাকলেও এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৩ হেক্টরের অধিক জমিতে আম বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। বাগানে আমরুপালি, ফজলি, খিড়সা, মোহনা, ল্যাংড়া, রাজভোগও গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছে অনেকেই। এছাড়াও ছোট ছোট পরিত্যক্ত এবং বাড়ির আশেপাশে জায়গা গুলোতে অনেক আমগাছ রয়েছে। ইতোমধ্যেই গাছে মুকুল এসেছে। এ উপজেলার উৎপাদিত আম এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়।

আমচাষী মো. এমরান আলী, আকরাম হোসেন, এরশাদ আলীসহ আরো অনেকেই জানান, আম গাছে মুকুল এসেছে। আশা করছি আর কয়েক দিনের মধ্যেই সব গাছেই ভালো ভাবে মুকুল আসবে। এ বছর বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার আমের ভালো ফলনের আশা করছি আমরা। ফলন ভালো হলে আমরা আম চাষ করে লাভবান হতে পারবো। এছাড়াও আম গাছে মুকুল গুলো ধরে রাখাতে ও গাছের আম গুলো ভালো রাখার ক্ষেত্রে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন আম চাষীরা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলার আম চাষীদের গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জৈব বালাইনাশক ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে আমসহ অন্যান্য ফল চাষে কৃষকদেরকে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভাল হবে আশা করছেন তিনি।

স/শা