রাণীনগরে প্রতিবন্ধী যুবতীকে অপহরণের পর হত্যা, গ্রেফতার এক

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে বিয়ের প্রলোভন ও ধারের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবতীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের অভিযানে শনিবার (১৯ মার্চ) ঢাকার আশুলিয়া উপজেলার জিরাবো এলাকা থেকে ওই শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবতীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই যুবতীর নাম লাভলী খাতুন (৩১) রাণীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের মেয়ে।

জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চোখের চিকিৎসা করার জন্য বাড়ি থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন লাভলী খাতুন। দীর্ঘ এক মাস পর বস্তাবন্দি মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।  রবিবার দুপুরে পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশের প্রেস ব্রিফিংএ তথ্য জানানো হয়, লাভলী খাতুন (৩১) অবিবাহিত এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবতী। সে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজশাহীর পপুলার ডায়গনটিক সেটারে চোখের চিকিৎসা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। লাভলীর পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় তার বড় ভাই গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাণীনগর থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় জিডির আলোকে জড়িত সন্দেহে রাণীনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মৃত আয়নুল হকের ছেলে মাহাবুবুল আলম বিস্কুট (৪৫) নামে একজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্কুটের দেওয়া তথ্য মতে শনিবার সকালে ঢাকার আশুলিয়া উপজেলার জিরাবো এলাকা থেকে বস্তাবন্দি মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় লাভলী খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, বিয়ের প্রলোভন ও ধারের টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে কৌশলে লাভলীকে অপহরণ করে মাহাবুবুল আলম বিস্কুট ঢাকা জেলার আশুলিয়া উপজেলার জিরাযো পশ্চিমপাড়া বাইতুম জামে মসজিদের পূর্ব পার্শে চারদিকে উচ্চ প্রাচীর ঘেড়া একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে গলাটিপে শ^াসরোধ করে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে মাটির নিচে পুতে রাখে। লাভলীর লাশ উদ্ধার করে শনিবার বিকেলে ঢাকায় শহীদ সোহ্রাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা মাহাবুবুল আলম বিস্কুটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জি/আর