রাণীনগরে নিম্নাঞ্চলে বোরো ধান রোপন শুরু

রাণীনগর প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় নিম্নাঞ্চলে বোরো ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পানি নেমে যাবার সাথে সাথে কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলা জুড়ে প্রায় ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে ধান রোপনের জন্য ইতি মধ্যে প্রায় ৯ শত হেক্টর জমিতে বীজতলা বপন করা হয়েছে।

সূত্র মতে, বোরো আবাদে ৭৭ হাজার ৮৫০ মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষে ৭৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড এবং ১৮ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ১৪৪ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা হলেও উপজেলার মিরাট, কাশিপুর, গোনা, বড়গাছা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭৫৪ হেক্টর জমির ধান বন্যার পানিতে ডুবে সম্পন্ন নষ্ট হয়ে যায়। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকেরা। বন্যার পানি নেমে যাবার সাথে সাথে বীজতলা বোপন করেন। গত সপ্তাহ থেকে উপজেলার নিন্মাঞ্চলে ধান রোপন করতে কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন চাষিরা।

মাঠে ধান রোপন কালে হরিশপুর গ্রামের কৃষক সাহাদৎ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, ফরিদ উদ্দীনসহ আরো কয়েকজন কৃষক জানান, প্রায় প্রতি বছরই বন্যার কারনে আমাদের এলাকার ধান নষ্ট হয়ে যায়। পানি নেমে যাবার সাথে সাথে আমরা বীজতলা বপন করি। অন্যান্য এলাকার চাইতে আমাদের এলাকার বীজতলা আগেই বড় হয়ে যায়। ফলে সবার আগে আমরাই ধান রোপন করি। এতে ধানও আগে কাটা-মারাই করতে পারি। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে একটু তাড়াহুড়া করেই ধান রোপন করে থাকি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মিরাট, কাশিপুর ও গোনা এলাকার বেশ কিছু এলাকায় ধান রোপন শুরু হয়েছে। আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে এসব নিম্নাঞ্চলে ভরা-ভরী ধান রোপন শুরু হবে। এছাড়া উপজেলার পূর্বাঞ্চলে ১৫-২০ দিনের মধ্যে ধান রোপন শুরু হবে। তিনি আরো জানান, আবহাওয়া জনিত কারনে প্রতিবছর বীজতলা কম-বেশি নষ্ট হলেও এবার বীজতলা নষ্টের কোন নজির নেই।

স/জে