রাণীনগরে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ওএমএসের চাল

রাণীনগর প্রতিনিধি:
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসাবে নওগাঁর রাণীনগরে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করার কথা থাকলেও অতিদরিদ্রদের মাঝে সোমবার থেকে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

সূত্রে জানা, অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাস উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৬জন ডিলারের মাধ্যমে কার্ডধারী ৮হাজার ৩শত ৩৩জন দরিদ্রদের মাঝে এই চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। কারণ মার্চ ও এপ্রিল মাস ইরি বোরো ধান রোপনের মৌসুম। এই সময় খোলা বাজারে চালের মূল্য বেশি থাকায় তা অতিদরিদ্র মানুষদের জন্য চাল কিনে খাওয়া খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই সরকার এই দুই মাস অতিদরিদ্রদের কথা চিন্তা করে এই কার্যক্রম চালু করেছেন।
সপ্তাহের সোমবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা তেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই চাল বিতরণের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

প্রতিজন ডিলার ১ মেট্টিকটন চাল বিক্রি করতে পারবেন। ডিলারের দোকানগুলোতে চাল কিনতে কার্ডধারী অতিদরিদ্রদের উপড়ে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চাল ক্রয় করছে। তবে কিছু কিছু চালের বস্তায় চালের পরিমাণ কম পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

সরকারে এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সেই সাথে এ কর্মসূচীটি সারা বছর চালু রাখা এবং চাল-আটা বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরা।

উপজেলায় ৫জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫টন চাল শহরের ৫টি পয়েন্টে বিক্রি করা হচ্ছে। এর সাথে জেলার ১১টি উপজেলায় ২০৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ জনের মাঝে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

ভাটকৈ বাজারে চাল নিতে আসা রমিজ উদ্দিন, মোমেনা বেওয়া, খোতেজা বেগমসহ আরও অনেকে বলেন আমরা গরীব মানুষ। মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাই। আমাদের নেই বরতে কিছুই নেই। তাই সরকার যদি আরও বেশিদিন ধরে আমাদেরকে কম দামে এই চাল দিতো তাহলে আমরা স্বস্তিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে পারতাম। তাছাড়া বাজারে চালের যে দাম সব টাকা এই চাল কিনতেই শেষ হয়ে যায় বাকি বাজার আর করা হয় না।

ভাটকৈ বাজারের ডিলার মো: মন্টু সেপাই বলেন, আমি সরকারের নিয়মনীতি মেনেই চাল বিক্রয় করছি। ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই সন্তোষজনক। তবে বরাদ্দ আরও বেশি করে দিলে এই এলাকার মানুষদের আরও অনেক উপকার হত।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: দুলাল উদ্দিন বলেন, এই কর্মসূচি সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষে আমিসহ আমার অফিসের লোকজন সব সময় ডিলারদের বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন। তাই অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই। বস্তায় চাল কম হওয়ার বিষয়টি খাদ্যগুদামের বিষয়। তাই এই বিষয়ে আমরা কোন কিছু বলতে পারছি না।
স/শ