রাণীনগরের একডালা ব্রিজ ভেঙে চলাচলে দুর্ভোগ

রাণীনগর প্রতিনিধি :
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর-মাদারতলা সড়কের একডালা নামক ব্রিজের মাঝখানে ভেঙে গেছে। এতে পায়ে হেটে ও ভ্যানগাড়ী এবং মোটরসাইকেল ছাড়া বড় কোন যানবাহন ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করতে পাড়ছে না। ফলে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার প্রায় এক মাসেও সংস্কার বা মেরামত না করায় চড়ম দুর্ভোগে পড়েছেন চলাচলকারীসহ এলাকাবাসি।

জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল একডালা ইউনিয়নের একডালা-মনোহরপুর এলাকা। ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে উপজেলা এলজিইডির আওতায় আবাদপুকুর-মাদারতলা সড়কের একডালা-মাদারতলার মাঝখানে প্রায় ১০ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের উপর দিয়ে ওই এলাকার একডালা, মনোহরপুরসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। এরই মধ্যে প্রায় এক মাস আগে ধান বোঝাই একটি ট্রাক্টর পারাপারের যাওয়ার ব্রিজের মাঝখানে ভেঙে পড়ে যায়।

স্থানীয় ফজলার রহমান, আল আমিন, আব্দুর রউফ ডলারসহ কয়েকজন বলেন, মনোহরপুরসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক ও ব্রিজ এটি। গত এক মাস আগে ব্রিজটির মাঝখানে ঢালাই, রড়সহ ভেঙ্গে পড়ে গেছে। এরপর থেকে ভাঙা ব্রিজের উপর দিয়ে পায়ে হেটে এবং মোটরসাইকেল পারাপার হলেও ভ্যানগাড়ী থেকে মানুষ নামিয়ে ভ্যানগাড়ী পার করতে হচ্ছে। এছাড়া ট্রাক্টর, ট্রাক, মাইক্রোবাস সহ বড় কোন যানবাহন ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে পাড়ছে না। তারা আরও বলেন, ব্রিজটি এভাবে ভেঙে পড়ে থাকলে সংশ্লিষ্টরা মেরামত বা সংস্কারের কোন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেনি। শুধু ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে গেছেন। দ্রুত ব্রিজটি মেরামত করার দাবি স্থানীয়দের।

উপজেলার একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো: শাহজাহান আলী বলেন, ভেঙে যাওয়া ওই ব্রিজ সংস্কার-মেরামত করতে যে অর্থের প্রয়োজন তা ইউনিয়ন পরিষদে নেই। ওই ব্রিজটি এলজিইডির আওতায়। তাই বিষয়টি এলজিইডি অফিসকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ভাঙা ওই ব্রিজের স্থানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এ জন্য সকল কাগজপত্রাদি সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।