রাজাকারের তালিকায় রাজশাহীর যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাক হানাদার বাহিনীকে পথঘাট চেনাতে ও মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে, তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম দফায় ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

তালিকায় রাজশাহীর কিছু রাজাকারের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যাদের অনেকে খালাস প্রাপ্ত, অনেকে সাজা প্রাপ্ত, খালাসের আবেদনকৃত, রাজাকারের সহযোগীতা করেছেন এবং মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

এদের মধ্যে অভিযুক্ত হয়েছেন রাজশাহীর পুঠিয়ার খন্দকার জুলফিকার করিম উদ্দিনের ছেলে খন্দকার জুলফিকার মফিজ উদ্দিন, অভিযুক্ত হয়ে কানাডায় পলাতক রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন আহম্মেদ পাটেল, পবা এলাকার খন্দকার আব্দুল বাকে, হাতেম খান এলাকার হামিদুজ্জামান চৌধূরীর ছেলে আবু হাসনাথ আশরাফুজ্জামান চৌধূরী, সিপাইপাড়ার ইমরান আলীর ছেলে মুজিবর রহমান, রাবি শিক্ষক ড. সাজ্জাদ হোসেন, জিল্লুর রহমান,  কাদিরগঞ্জ এলাকার মৃত আলজু হোসেনের ছেলে আব্দুস সোবাহান,

মিয়াপাড়া এলাকার আমির আলীর ছেলে খোরশেদ আলম সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন। আকবর আলী তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মোহনপুর এলাকার ডা. এমমাদ আলী খানের অভিযোগটি নথিজাত করা হয়েছে। সিআইডি রাজশাহীর এ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর এসকে সামসুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে চার্জশীট মুল্যায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাজ এন্ড কোম্পানীর প্রোপাইটার মো. নুরুজ্জামান এবং গফুর এন্ড কোম্পানীর প্রোপাইটর আব্দুল গফুরের অভিযোগ সহযোগিতা তদন্তের জন্য ডিসি রাজশাহীকে প্রেরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর প্রাক্তন আঞ্চলিক ডিরেক্টর মো. সাইফুল্লাহর অভিযোগ গ্রহনর করা হয়েছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রার্থনার আবেদন করা হয়েছে। 

দুদক রাজশাহীর সাবেক কর্মকর্তা কাজেমুদ্দিন মণ্ডলের অভিযোগ তদন্তের জন্য আইজিপিকে প্রেরণ করা হয়েছে। রাজশাহী কারাগারের প্রিজনার নুরুল আলম মোহাম্মদ ফারুকের আবেদন বিভাগীয় প্রার্থনা চাওয়া হয়েছে। রাজশাহী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত রাজশাহী মনোবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের রীডার ড. মোহাম্মদ মহসীন।

রাজাকারদের সহযোগী ছিলেন, চারঘাটের হাবিবপুর এলাকার সামীর উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন, জালাল উদ্দিনের ছেলে মজিবর রহমান, বাদুড়িয়া এলাকার ইব্রাহীম সরকারের ছেলে আব্দুল করিম, মোক্তারপুর এলাকার জেশরাথ উদ্দিন সরকাররের ছেলে জয়েন উদ্দিন সরকার, আড়ানী এলাকার মেহেদীর ছেলে দুলাল মিয়া, বড়বাড়ী এলাকার আমীর মোল্লার ছেলে ইসলাম মোল্লা, লাহোর এলকার সাবের সামাই এর ছেলে নওয়াব আলী, গোপালপুর এলাকার শুকুর মাহমুদের ছেলে আব্দুল করিম, পুঠিয়ার ময়েজুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আলীমুদ্দিন মণ্ডল,পুলিশের এসআই আসাদুল্লাহ খান, পুঠিয়া বাজার এলাকার আতাহার উদ্দিন খলিফা, তারাপুর এলাকার আব্দুর রহমান, গোপালহাটি এলাকার ফরাজ উদ্দিন দফাদার, জোয়ানপুর এলাকার নাসের সরদারের ছেলে ওসমান সরকার, দুর্গাপুরের গংকৈর এলাকার গণেশ প্রামাণিকের ছেলে লাল চাদ প্রামাণিক, সুবল প্রামাণিকের ছেলে সেরাজুদ্দিন প্রামাণিক, কিসমত গংকৈর এলাকার সাবের প্রামাণিকের মেয়ে ফাতেজান বেওয়া, নন্দীগ্রাম এলাকার আব্দুল ব্যাপারী, শহীদ কাজী, জাব্বার, এনায়েতুল্লাহ, সেকেন্দার তফিদার, মফিজুল তফিদার, শহীদুল তফিদার, আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী,ইসমাইল, বাকশা, সোলেমান, জব্বার,হোসেন, গোদাগাড়ীর উজানপাড়া এলাকার কেফায়েতুল্লাহ মণ্ডলের ছেলে আব্দুর রশীদ, আব্দুল আজিজের ছেলে কাজিমুদ্দিন, হেলেনাবাদ এলাকার সেলাই মণ্ডলের ছেলে মকবুল হোসেন,হাজী নূর মণ্ডলের ছেলে এনামূল মাস্টার, ঢোলা মণ্ডলের ছেলে সিদ্দিকুর, সামীর উদ্দিনের ছেলে মহসীন, কালু, হোসেন, সাবেদ আলী মণ্ডলের ছেলে আশরাফ,আলফাজ, মোবারোক হোসেন, কাশিমপুর এলাকার এজারুদ্দিনের ছেলে বেলালুদ্দিন,সওদাগর মণ্ডলের ছেলে মরজিন, শাহজাহান।

দুর্গাপুরের শ্যামপুর এলাকার  শাকের উদ্দিন ওরফে ডাঃ শাকির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা খালাস পান দুর্গাপুরের শ্যামপুর এলাকার জহির আলী মন্ডল এবং নগরীর উপশহর এলাকার সিদ্দিক।

স/শ