রাজশাহী-৬: চাঁদের প্রার্থীতা স্থগিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা হতাশ

বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সাইদ চাঁদের প্রার্থীতা স্থগিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা হতাশার মধ্যে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা সংক্রান্ত জটিলতায় উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এলাকায় বিষয়টি সন্ধ্যায় জানাজানি হওয়ার পর
থেকে হতাশায় পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

প্রকৃত পক্ষে এ আসনে শেষ পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী কে হচ্ছেন? প্রার্থী কি কেউ হতে পারবেন এ আসনে, না শুন্যই থাকবে এ আসন- এমন প্রশ্ন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে জল্পনা কল্পনা।

এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু বাক্কার বলেন, জুলুম নির্যাতনের মধ্যে ভোটারদের ঠিক করা হয়েছিল। ভোটাররা আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট দিবেন। কিন্তু আবু সাইদ চাঁদের প্রার্থীতা স্থগিত হওয়ায় খবর শুনে হতাশায় পড়েছি।
বাঘা উপজেলা বিএনপির নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, একটি পক্ষ ধানের শীষের প্রচারণা করতে গেলেই বাধা প্রদান করছে। তারপরও কোন কোন সময় ভোটারদের কাছে গিয়ে আবার কখনো গোপনে গোপনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভোটারদের নিশ্চুপ থেকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বতর্ফুত সহযোগিতা পাচ্ছিলাম। কিন্তু ধানের শীষের এখন প্রার্থীই রইল না। তবে হতাশ হয়ে পড়েছি ঠিক, তারপরও আশা করছি প্রার্থীতা ফিরে আসবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক ভোটার বলেন, দীর্ঘদিন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারিনি।এবার আশা ছিল গোপনে চুপ করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিব। সে আশা পূরণ হলো না। চাঁদ ছাড়া অন্য কেউ প্রার্থী হলেও কেন্দ্রেও যাব না, ভোটও দিব না।

বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান খাঁন মানিক বলেন, হাইকোটের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোটে আপিল করলে চাঁদের প্রার্থীতা ফিরে আসবে বলে আশা করছি। এছাড়া আমি বিএনপির দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলাম। আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করি নাই। দলীয় হাই কমান্ড যদি আমাকে পূনারায় প্রতীক দেন এবং নির্বাচন কমিশন সেটা গ্রহন করেন, সেক্ষেত্রে আমি নির্বাচন করব। তবে প্রায় শেষ মুহূতে এমন ঘটনায় হতাশা হওয়াটা স্বাভাবিক।

জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র গ্রহণের জটিলতা নিয়ে রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু সাইদ চাঁদের প্রার্থীতা বাতিল করে। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পান চাঁদ। তবে বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ আবারো তাঁর প্রার্থীতা স্থগিত করে।

এ আসনে আ.লীগের প্রার্থী রয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। বিএনপির আবু সাইদ চাঁদ। তিনি ২২টি মামলায় এখনো কারাগারে রয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যেই ২১টি মামলায় জামিনে আছেন। সর্বশেষ বাগমারা থানায় দায়েরকৃত নাশকতার মামলায় জামিন পাননি তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর চারঘাটের শলুয়া থেকে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় একাধিকবার তার জামিন হলেও পুলিশ নুতন মামলায় গ্রেফতার দেখানোর ফলে তাঁর মুক্তি হয়নি।

স/শা