রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অনুদানের টাকায় চেয়ারম্যানের লিখা বই কিনতে চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বছর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের জন্য বই কিনতে ১৮-২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই টাকার চেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা শিক্ষা বোর্ডে নিতে গেলে তাদেরকে চেয়ারম্যানের লিখা ৬ হাজার টাকা মূল্যের দুটি বই ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৬ হাজার টাকা নগদ নিয়ে একটি করে ভাউচার আর ২০ হাজার টাকার চেক ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।

বিষয়টি স্বীকারও করেছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের একান্ত সচিব মখলেছুর রহমান মুকুল। তিনি বলেন, ‘বই নিতে বাধ্য করার বিষয়টি সঠিক নয়। তবে চেক প্রদানের সময় আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে জানতে চাচ্ছি, ‘বঙ্গবন্ধু ও কামারুজ্জামানকে নিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান স্যারের লিখা নতুন বই দুটি আপনাদের সংগ্রহে আছে কি না?’ যাদের সংগ্রহে নাই তারা হয়তো বই দুটি নিচ্ছেন। আবার অনেকেই সংগ্রহে না থাকলেও নিচ্ছেন না। তবে কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না।’

এদিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের হিসাব শাখা সূত্র মতে, চলতি বছরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের আওয়াতায় স্কুল-কলেজে বই কেনার জন্য মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। আবেদনপত্র অনুযায়ী ওই টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানে বই কেনার জন্য শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের পরে ২০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাকে চেয়ারম্যান স্যারের লিখা দুটি বই হাতে ধরিয়ে দিয়ে নগদ ৬ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে হিসাব শাখার উপ-পরিচালক বাদশা হোসেন বলেন, ‘কাউকে বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে কি না এটা আমার জানা নাই। তবে অনুদানের চেকগুলো চেয়ারম্যান স্যারের দপ্তর থেকে বিতরণ করা হচ্ছে।’

জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, ‘কাউকে বই কিনতে বাধ্য করার বিষয়টি সঠিক নয়। কেই কিনতে চাইলে তাদের বই দেওয়া হচ্ছে।’