রাজশাহী বোর্ডে সেরা জয়পুরহাট জেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এসএসসির ফলাফলে এবার দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড। বোর্ডে এবছর পাশের হার ৯১ দশমিক ৬৪ ভাগ। এদিকে এ বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৭৯৫ জন। আর বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আটটি জেলার মধ্যে সেরা হয়েছে জয়পুরহাট জেলা।

পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটায় ফল প্রকাশ করে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড।

বোর্ড হতে প্রাপ্ত নথিতে দেখা যায়, এ বছর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে সেরা ফলাফল করেছে জয়পুরহাট জেলা। জয়পুরহাট জেলায় পাশের হার ৯৪ দশমিক ৯৭ ভাগ। যা অন্যান্য জেলার চেয়ে এগিয়ে। জেলার মেয়ে শিক্ষার্থীর পাশের হার ৯৫ দশমিক ৮২ এবং ছেলে শিক্ষার্থীর পাশের হার ৯৪ দশমিক ১৪ ভাগ।

পাশের হারে জয়পুরহাটের পরেই রয়েছে রাজশাহী জেলা। জেলায় পাশের হার ৯২ দশমিক ৮৪ ভাগ। যেখানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৯৩ দশমিক ৮৫ এবং ছেলে শিক্ষার্থীদের পাশের হার ৯১ দশমিক ৯৬ ভাগ।

তবে রাজশাহী জেলায় জিপিএ-৫ পায় ৪ হাজার ১০৮ জন, যেখানে পরিক্ষার্থী ছিল ৩২ হাজার ২৯৯ জন। আর জয়পুরহাটে জিপিএ-৫ পায় ১ হাজার ৪৯১ জন। যেখানে পরিক্ষার্থী ছিল ৯ হাজার ৩২৪ জন।

দুই ধাপ উপরে উঠে বোর্ডে এবার তৃতীয় অবস্থানে বগুড়া জেলা। এখানকার ৯২ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এবার। এ বছর এ জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৫ হাজার ১৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩২ হাজার ২৬৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ১৮৬ জন। বগুড়ায় ৯০ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর ৮৬ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় বোর্ডে পঞ্চম অবস্থানে ছিলো বগুড়া।

টানা তৃতীয়বারের মত বোর্ডে চতুর্থ অবস্থানে নওগাঁ জেলা। এবার জেলায় পাশের হার ৯১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এখানকার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৫ হাজার একজন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২২ হাজার ৮৭৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬১৫ জন। নওগাঁয় ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ ছাত্র এবং ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর এই জেলায় পাশের হার ছিলো ৯০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

তিন ধাপ নেমে এবার পাবনা জেলার অবস্থান বোর্ডে পঞ্চম। এখানকার পাশের হার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ জেলার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৯ হাজার ৫৪২ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৬ হাজার ৯৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৪২ জন। এখানকার ৮৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছাত্র এবং ৯২ দশমিক ৬৪ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর এ জেলার পাশের হার ছিলো ৮৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

৯১ দশমিক শূণ্য ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় বোর্ডে ষষ্ঠ অবস্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। এখানকার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১৫ হাজার ৯৪৩ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪ হাজার ৫১৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৩১ জন। চাঁপাাইনবাবগঞ্জে ৮৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ছাত্র এবং ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। ৮৩ দশমিক ১৭ শতাংশ পাশের হারে গত বছর সপ্তম অবস্থানে ছিলো এ জেলা।

এক ধাপ নেমে বোর্ডে সিরাজগঞ্জ জেলার অবস্থান সপ্তম অবস্থানে। এ জেলায় পাশের হার ৯০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৬ হাজার ৭৩৪ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৬৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৯০ জন। সিরাজগঞ্জে ৯০ দশমিক ৪১ শতাংশ ছাত্র এবং ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর এখানকার পাশের হার ছিলো ৮৫ দশমিক ০৪ শতাংশ।

ফলাফলে টানা দ্বিতীয়বারের মত বোর্ডের তলানিতে নাটোর জেলা। এ জেলায় পাশের হার ৮৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২০ হাজার ১৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৮ হাজার ১০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে একহাজার ৫২৭ জন। নাটোরে ৮৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ ছাত্র এবং ৯২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে। ৮২ দশমিক ৩০ শতাংশ পাশের হার নিয়ে গত বছরও একই অবস্থানে ছিলো নাটোর জেলা।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবছর সবমিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলো ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩৫ জন। ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ হারে পাশ করেছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৮২৮ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৭৯৫ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ১৯ হাজার ৪৯৮ জন। এবার বোর্ডে অনুপস্থিত ছিলো ৫৯২ জন পরীক্ষার্থী।

স/শা