রাজশাহী বিভাগে এক দিনে করোনায় রেকর্ড মৃত্যু ও শনাক্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১ হাজার ৫৯ জন নিয়ে বিভাগে মোট করোনার রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৮২১। তাঁদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে শনাক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৬৩ জন। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬৬, নওগাঁয় ১১৩, নাটোরে ১৬১, জয়পুরহাটে ৬২, বগুড়ায় ১৫২, সিরাজগঞ্জে ৪৩ ও পাবনায় ৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু
রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন মারা গেছেন। বিভাগে এক দিনে এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় ৮৫১ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় ৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ জন, রাজশাহীতে ৩ জন, নওগাঁয় ২ জন এবং নাটোর, জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জে ১ জন করে মারা গেছেন। বিভাগের এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮৫১ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বগুড়া জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে রাজশাহীতে ১৫২ জন। এ ছাড়া করোনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০৮ জন, নওগাঁয় ৭৬ জন, নাটোরে ৫০ জন, জয়পুরহাটে ২৮ জন, সিরাজগঞ্জে ৩০ জন এবং পাবনায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ২৭৭ জন
রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭৭ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজার ৫৯৪ জন। বর্তমানে বিভাগের আট জেলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ হাজার ৯৫৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮৩ জন। বিভাগে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০ হাজার ২৭০ জন করোনা রোগী।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমা আক্তার বলেন, রাজশাহী বিভাগে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এ কারণে মৃত্যুও বাড়ছে। গ্রামের মানুষ বেশি মারা যাচ্ছেন। তাঁরা কম সচেতন। তাঁদের জোর করেও টিকা দেওয়া যায়নি। করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁরা পরীক্ষা করান না। উল্টো তাঁরা করোনা হলে বিষয়টি গোপন করার সব রকম চেষ্টা করছেন।

নাজমা আক্তার আরও বলেন, করোনার ধরন (ডেলটা) দেখে বোঝা যাচ্ছে, অক্সিজেনই রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু গ্রামের মানুষ শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে আসছেন। এ কারণে তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে সচেতন না হলে সামনে কঠিন বিপদ অপেক্ষা করছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনার উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করাতে হবে। এ বিষয়ে কোনো অবহেলা করা যাবে না।

প্রথম আলো