সোমবার , ২৪ জুলাই ২০১৭ | ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহী বিএনপির ছয় নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তির সুপারিশ

Paris
জুলাই ২৪, ২০১৭ ১:০২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির ৬ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। রাজশাহী বিএনপির চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান ও রাজশাহী অঞ্চলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সওকতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েস্বর চন্দ্র রায়।

গত ১৫ ও ১৬ জুলাই রাজশাহীতে মহানগর ও জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনার কয়েকদিন পরেই এ প্রতিবেদন দাখিল করেন কেন্দ্রীয় ওই নেতা। তাঁর উপস্থিতিতেই ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এর পর আজো সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি পক্ষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ নিয়ে গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েস্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই দুইদিনের ঘটনা সম্পর্কে আমি কেন্দ্রকে অবহিত করেছি। এখন দল পরবর্তি সিদ্ধান্ত নিবে। আমি কারো বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করতে পারি না। তবে ঘটনা যা ঘটেছে-তা তুলে ধরেছি।’

দলীয় সূত্র মতে, গয়েস্বর চন্দ্র রায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে রাজশাহীর ছয়জন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিতভাবে প্রতিবেদন আকারে দলীয় চেয়ার পার্সনের কাছে সুপারিশ করেছেন।

মিনু এবং শাহীন সওকত ছাড়াও অন্য যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তাঁরা হলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন ও যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন।

গত ১৫ জুন এবং ১৬ জুন রাজশাহী মহানগর এবং জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে এই নেতাদের ইন্ধনে পরিকল্পতিভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটানো হয়। যাতে করে কর্মী সমাবেশ প- হয়ে বিএনপির নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।

তবে এ বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন ফোন রিসিভ করেননি।

রাজশাহী অঞ্চলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন সওকত বলেন, ‘আমার লোকজন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটায়নি। কাজেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে আমার জানা নাই।’

জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, ‘ওই দুটি ঘটনার পরে আমাদের ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে বিষয়টি ওই সময় সমাধান হয়ে গেছে বলে জানি। ‘

রাজশাহী জেলা বিএনপির একজন নেতা গতকাল বলেন, ‘কর্মী সমাবেশে যারা পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটালো, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে কেন্দ্রে রিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন গয়েস্বর চন্দ্র রায়। কিন্তু কেন্দ্র থেকে এখনো বিতর্কিত এই নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে করে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।’

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আরেক নেতা বলেন, ‘দলের মধ্যে প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।

জেলা বিএনপির তৃণমূলের কয়েকজন নেতা গতকাল জানান, ওই ঘটনার পরে এখনো বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তবে এ বিষয়ে দ্রুতই একটা সিদ্ধান্ত আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর