রাজশাহী বারের পি.পিসহ কয়েকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী কোর্টের বর্তমানে দায়িত্বরত কিছু আইনজীবীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বৈষম্যের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। মঙ্গলবার দুপুর ১:৩০ টায় রাজশাহী কোর্টের দ্বিতীয় বার ভবনের দোতলায় নারদ হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সম্মেলনের আহব্বায়ক এ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহহাব জেমস লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০০৮ সালে বর্তমান আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোর্টে বিভিন্ন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাদের কেউ কেউ দুর্নীতিবাজ, ফাঁকিবাজ এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আছে। তারপরও তারা এখনো দায়িত্বে আছে। এটা নিতন্তই দু:খের বিষয়। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এদের অপসারণ করে সৎ ও যোগ্য আইনজীবীদের নিয়োগের সুপারিশ করেন।

তিনি বলেন, জেলা পি.পি ইব্রাহিম ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর তত্তাবধায়ক সরকারের সময়ের বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদেরকে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে আওয়ামীলীগ সাজিয়ে বহু মামলা প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করেন। তার মধ্যে মতিহার থানার ২০০৪ সালের ১৩নং মামলায় যুবদল নেতা উজ্জলসহ ১১ জন এবং বাঘা থানার ২০০৮ সালের ১৫ নং মামলায় বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমানসহ ৩ জনের কথা উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় এ্যাডভোকেট ফজলুল হক ও মোয়াজ্জেম হোসেনের মৃত্যুর অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এছাড়াও জেলা জি.পি এ্যাডভোকেট রবিউল হক কাকরের বিরুদ্ধে কোটি টাকা উত্তোলন, আইনজীবীদের সাথে সম্পর্ক না রাখা ও আইন কর্মকর্তাগণের পদ বঞ্চিত হওয়ার পেছনে তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মহানগর পি.পি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টাকার জন্য আইনজীবীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, জামিনে বাধা দেয়ার হুমকিসহ কথায় কথায় শ্যালক এমপি আয়েনের হুমকি দেয়। এসময় ২০০৯ সালে নিযুক্ত এ্যাডভোকেট ইসমত আরার বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ করেন এ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহহাব জেমস।

এসময় তিনি আরো বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বেশ কয়েকবার নতুন পরিষদ গঠন ও নতুনদের নিয়োগের বিষয়ে বললেও স্থানীয় এমপিদের হস্তক্ষেপে তারা আজও দায়িত্বে বহাল আছেন।

তবে বিষয়গুলো নিয়ে অভিযুক্ত আইনজীবীদের মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

স/শা