রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতির সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমানের দাঁতের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. একেএম আসাদ পলাশ এ অস্ত্রোপচার করেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ।

জানা গেছে, সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমান গত ১০দিন ধরে দাঁতের তীব্র ব্যথাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ব্যথার ফলে তার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে অচেতন হয়েও পড়ে যান তিনি। পরে দন্ত বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হলে দাঁতের এক্স-রে পরীক্ষার পর অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং সকল শুভাকাঙ্খীর দোয়ায় শনিবার সফলভাবে তার দাঁতের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।

সফলভাবে দাঁতের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়ায় এবং অসুস্থ অবস্থায় পাশে থাকায় চিকিৎসক একেএম আসাদ পলাশ ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাইদুর রহমান সাংবাদিকসহ সকলকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানয়েছেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর বাকশাল সরকারের জেলা গভর্নর জননেতা আতাউর রহমান ও ভাষাসৈনিক মনোয়ারা রহমানের সুযোগ্য সন্তান সাইদুর রহমান ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী স্ট্রোক করেন এবং সেসময় তার বামদিক সম্পূর্ণ প্যারালাইজ হয়ে যায়। সেসময় তার পাশে দাঁড়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, দেশবরেণ্য সাংবাদিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ বিশিষ্টজনরা। তবে স্ট্রোকের পর চিকিৎসকের ভুল ওষুধ প্রয়োগের ফলে তার কিডনিজনিত সমস্যা তৈরি হয়।

পরে অবস্থা আরো জটিল হলে তৎকালীন রাজশাহীস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জিব মিত্র এগিয়ে আসেন এবং ভারতে চিকিৎসা নেয়ার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিসা তৈরিতে সহযোগিতা করেন। পরে ২০১৪ সালে সাইদুর রহমান ভারতের বিখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ মিস্টার অভিজিৎ তরফদারের কাছে চিকিৎসা নেন। সেখানে সুচিকিৎসা পেয়ে এবং শারীরিক ব্যায়াম ও বিভিন্ন থেরাপি গ্রহণ করে তিনি কিছুটা সুস্থ।

তবে এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট বা পেইন কিলার প্রয়োহ নিষিদ্ধ। তাই এখনো তিনি দুই মাস পরপর ভারতের সেই চিকিৎসকের কাছেই কিডনিজনিত সমস্যার ফলোআপ চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ অসুস্থতার পরও সাংবাদিকতা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের তিনি শিক্ষা দিচ্ছেন হাতেকলমে। তার হাত ধরেই বেশ কয়েকজন দাপুটে সাংবাদিক তৈরি হয়েছেন। যারা বর্তমানে কাজ করছেন দেশের স্বানামধন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে।