রাজশাহী টিটিসির ৩০ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ চুরি!

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভবনের মূল ফটকে তালা। তিনতলার একটি ল্যাবে ৩০ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটেছে। কম্পিউটারগুলোর শুধু মাদার বোর্ড, হার্ডডিস্ক চুরির হয়েছে। রাজশাহী কারিগির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি (টিটিসি) সিটি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকার পরেও এমন চুরির ঘটনা। যদিও এই চুরির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ছাড়াও থানায় অভিযোগ করেছেন- অধ্যক্ষ এসএম ইমদাদুল হক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইট ভবনে কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর রাসেদুল ইসলামের ল্যাবে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে শনিবার (২০ মার্চ) রাতের কোন এক সময়। পরের দিন রোববার (২১ মার্চ) বিকেল তিনটায় ক্লাসে এসে রাশেদুল তালা ভাঙ্গা দেখে অধ্যক্ষ ইমদাদুল হককে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করে। তবে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

অন্যদিকে, টিটিসির পক্ষ থেকে ঘটনার পরেই ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে ভাইসপ্রেন্সিপাল আক্তারা শাহিনকে প্রধান করে অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর আনোয়ার হোসেন, ইন্সট্রাক্টর আয়েবুল আজাদ ও কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর রাসেদ আলম। এই কমিটির সোমবার (২২ মার্চ) প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।

এবিষয়ে অধ্যক্ষ এসএম ইমদাদুল হক জানান- ‘৩০ কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তারা দ্রুত জমা দেবে বলে আশা করেন তিনি।’

জানা গেছে- আইট ভবনে বেশ কয়েকটি ল্যাব রয়েছে। প্রতিটি ল্যাব ও ক্লাস রুমে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। আর চুরি হওয়া ল্যাবটিতেও ছিলো সিটি ক্যামেরা। তবে চোর শনাক্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ এসএম ইমদাদুল হক বলেন, ‘ধরা পড়েনি। ওই ফুটেজ টুকু দেখা যাচ্ছে না। ধারনা করা হচ্ছে চুরির সময় সিটি ক্যামেরায় কিছু একটা করেছে চোর। আর ধারনা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।’

শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, ৩০ কম্পিউটারের মাদার বোর্ড, সিপিও ইত্যাদি চুরি হয়েছে। এটা রাস্তা ঘাটের চোর নয়। কম্পিউটারে বিশেষ ধারণা এমন চোর চুরি করেছে। আমরা সেই বিষয়টি মাথায় রেখে চোর শনাক্তের চেষ্টা করছি। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে।

স/রি