রাজশাহী-চাঁপাইয়ের কৃষিপণ্য পরিবহণে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক :


চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে পণ্যবাহী (পার্শ্বেল) এক জোড়া নতুন ট্রেন চালু করা হচ্ছে। আগামীকাল (৫ জুন) থেকে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ ১ ও ২ নামের ট্রেন দুইটি সপ্তাহে ৭ দিনই এই রুটে আম-সবজিসহ পণ্যসামগ্রী নিয়ে যাতায়ত করবে। স্টেশনের দূরত্ব ভেদে ভাড়া পড়বে সর্বনিম্ন ১ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৩০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার (৪মে) সকালে রাজশাহী স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ট্রেন দুটি ভাড়া ও চলাচলের সময়সহ বিস্তারিত তুলে ধরেন পশ্চিম রেলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ।



এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের বাণিজ্যিককর্মকর্তা ও সুপারিনটেন্ডেন্ট।

সংবাদ সম্মেলনে জনানো হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত প্রতি কেজি পণ্য পাঠাতে খরচ পড়বে ১ টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী স্টেশন থেকে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৭ পয়সা। এর মাঝে পণ্য নামানো যাবে টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, মৌচাক, জয়দেবপুর, টংগী, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও স্টেশনে। এদিকে রাহনপুর আমনুরা, সিতলাই, সরদহ রোড, আড়ানী, আব্দুলপুর স্টেশন থেকেও ঢাকার উদ্দেশ্যে পণ্য পরিহবণ করা যাবে। একই ভাড়ায় ঢাকা থেকে পণ্য নিয়ে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে আসা যাবে। এর মাঝে টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, মৌচাক, জয়দেবপুর, টংগী, বিমানবন্দর ও তেজগাঁও স্টেশন থেকেও পণ্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে আসা যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ‘ম্যাংগো স্পেশান ২’ ট্রেনটি বিকাল ৪টায় ছেড়ে যাবে। রাজশাহী স্টেশনের পৌছোবে ৫টা ২০ মিনিটে। ৩০ মিনিট যাত্রা বিরতীর পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে ৫ টা ৫০ মিনিটে। ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছোবে রাত ১টায়। এদিকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ‘ম্যাংগো স্পেশান ১’ ট্রেনটি রাত্রি ২টা ১৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।

ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে এসে পৌছাবে সকাল ৮ টা ৩৫ মিনিটে। ২০ মিনিট যাত্রা বিরতির পর ৮টা ৫৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। ট্রেন দুইটিতে মোট ৬টি ওয়াগন বা বগি থাকবে। প্রতি বগিতে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার কেজি পণ্য পরিবহণ করা যাবে।

এদিকে আমের সিজন শেষ হওয়ার পরো পণ্যবাহী এই ট্রেনটির যাত্রা অব্যাহত থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানান, রাজশাহী-আব্দুলপুর রুটের রেল লাইনের ধারণ ক্ষমতা অনুসারে প্রতিদিন ২২ জোড়া ট্রেন এই রুটে চলাচল স্বাভাবিক। সেখানে প্রতিদিন চলাচল করে ৩৪ জোড়া ট্রেন। এমন অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই রুটের নিয়মিত ট্রেনগুলো যাতায়ত শুরু করলে হয়তো এই ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ দুটির সেবা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।

স/আ