রাজশাহী অঞ্চলে একমাসে ৫৬ দুর্ঘটনায় নিহত ৬৮

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজশাহী বিভাগে গত জুন মাসে ৫৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই একমাসে দুর্ঘটনায় ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিভাগের অন্য জেলার তুলনায় রাজশাহী জেলায় দুর্ঘটনার হার কম। তবুও রাজশাহীতে মাসজুড়ে পাঁচটি দুর্ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জুন মাসের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন এমন তথ্য উঠে এসেছে।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে- ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা এবং না মানার প্রবণতা ইত্যাদি।

রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা: গত ৩০ জুন গোদাগাড়ীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ট্রাকচাপায় আব্দুল মান্নানের (৩৫) মৃত্যু হয়। তিনি বগুড়ার সদর উপজেলার শীববাটি গ্রামের মৃত জাহেদ হোসেনের ছেলে। এর ৫দিন আগে ২৫ জুন পুঠিয়ায় ট্রাক চাপায় ভ্যানচালক সমশের আলীর (৪৫) মৃত্যু হয়। নিহত সমশের আলী পবা উপজেলার পারিলা এলাকার মৃত হানিফ আলীর ছেলে। তার একদিন আগে ২৪ জুন নওগাঁয় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চার শিক্ষকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- নিয়ামতপুর উপজেলার পানিহারা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও উপজেলার বাদ নেহেন্দা গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন (৪৭), বেলকাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও নিয়ামতপুরের বিজলী গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন (৫৮), উপজেলার গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ভাদরণ্ড গ্রামের বাসিন্দা জান্নাতুন (৩৫) এবং উপজেলার রামকুড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. লেলিন (২৬)। নিহত অপরজন হলেন নিয়ামতপুরের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের অটোরিকশাচালক সেলিম (৪৫)।

গত ২১ জুন পুঠিয়ায় ট্রাক-লেগুনার সংঘর্ষে বানেশ্বর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে সুমনুজ্জামান (৩৮) ও চারঘাট উপজেলার রাসেদুল ইসলাম (৩০)। এছাড়াও লেগুনার যাত্রী ভোদর মিয়া (৫৫), রাসেল (২১), জিল্লুর রহমান (২২), সাগর আলী (২২), রনি (২৭), মঞ্জুরা বেগম (৬৫), পিঞ্জিরা (৩০), তুফান (৮) ফেরদৌসী (৪৫) ও আব্দুল্লাহ (১৫) গুরুতর আহত হয়েছেন। ১৯ জুন গোমস্তাপুরে ট্রাক্টর চাপায় ১২ বছর বয়সী আজিজের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গত ১৯ জুন লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ইকবাল (২২) ও সবুজের (২০) মৃত্যু হয়। গত ৭ জুন লালপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে টাঙ্গাইল সদরের বিল গারিন্দা গ্রামের মো. রমজান আলীর ছেলে আপন মিয়া (২০) ও হেল্পার বাশাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের হাজী মঞ্জুর ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩০)।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, রাজশাহী জেলার মধ্যে মহানগরীতে সড়ক দুর্ঘটনা একই বারে নেই বললেই চলে। কারণ শহরের রাস্তা-ঘাট অনেক ভালো। তাই দুর্ঘটনা কম। গত জুনে রাজশাহী বিভাগের পাবনা, বগুড়া, নওগাঁয় বেশ কিছু বড় ধনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরো বলেন- একেকটি দুর্ঘটনায় দুই থেকে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁয় গত ২৪ জুন নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় চার শিক্ষকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।