এদিকে রাজশাহীতে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাতও অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় মহানগর ঈদগাহে (টিকাপাড়া)। বৃষ্টি হলে একই সময়ে পাশেই থাকা টিকাপাড়া মোহাম্মপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ৮টায় মহানগরীর তৃতীয় বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বড় মসজিদ সংলগ্ন সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে। এখানে প্রধান সড়কের ওপর একটিই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায় এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম জানান, সুুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত আয়োজনের জন্য এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বলে দেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটিই আলোচনা করে নিজ নিজ ঈদগাহের ঈদ জামাতের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন। তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন বা রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবারও ঈদের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয়নি। মসজিদ কমিটি তাদের সুবিধামত নামাজের সময় নির্ধারণ করবেন। ঈদের আগের দিন তা মাইকিং করে জানিয়ে দেবে। তবে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই বেশিরভাগ মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে এবার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। সেই অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ঈদের দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৮টায় মহানগরীর হযরত শাহ খদুম (রহ:) কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে ইদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় ইদগাহে জামাত অনুষ্ঠানের পর রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, এতিমখানা, শিশুকেন্দ্র, শিশুপরিবার, শিশুপল্লী, শিশুসদন, ছোটমণি নিবাস, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, সেফ হোম এবং অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়া এদিন সরকারি ভবন ও সড়কগুলো বিশেষভাবে সজ্জিত থাকবে।