রাজশাহীর যুবলীগ নেতা সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় যুবককে ধরে পেটালো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের বিকৃত যৌন ক্যালেঙ্কারির ভিডিও ফাঁসকারী যুবককে মীমাংসার জন্য ডেকে নিয়ে এসে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকার সোহাগ নামের ওই যুবককে তার বাড়ি থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে থানায় আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। এছাড়াও সোহাগের পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

সোহােেগর মা আকলিমা বেগম অভিযোগ করেন, য্বুলীগ নেতা সুমনের বিকৃত যৌন ক্যালেঙ্কারীর ভিডিওচিত্র ফাঁস করেছিলেন সোহাগ। ওই ঘটনার পরে সোহাগকে মারপিটের জন্য খুঁজতে থাকেন সুমন এবং তাঁর লোকজন। নির্যাতনের ভয়ে প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে আত্মগোপনে ছিলেন সোহাগ। এ নিয়ে সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সোহাগের মা আকলিমা বেগম। ওই মামলাটি মীমাংসার কথা বলে সোহাগকে ডেকে নিয়ে আসেন সুমনের লোকজন। কিন্তু রবিবার রাতে সোহাগ বাড়ি আসামাত্রই পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে ওসি হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ সোহাগকে ব্যাপক নির্যাতন করে। নির্যাতনের পরে মামলাটি তুলে নিতে এখন আকলিমা চাপ প্রয়োগ করছেন ওসি।

তবে যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ও নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল আলম সুমন বলেন, ‘সোহাগ পলাতক থাকায় আমার বিরুদ্ধে তার মা মিথ্যে গুম ও অপহরণ মামলা করেছে। এখন পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। তবে আমি পুুলিশকে নির্যাতনের কোনো পরামর্শ দেয়নি। তাকে কারা নির্যাতন করেছে বলতে পারবো না।’

সুমন বলেন, ‘সোহাগের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কিন্তু সে তৃতীয় পক্ষ হয়ে আমাকে ফাঁসে আত্মগোপন করেছিল। এখন পুলিশই পরবর্তি ব্যবস্থা নিবে।’

জানতে চাইলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, ‘সোহাগকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে কারা নির্যাতন করেছে বলতে পারবো না। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল এক কিশোরের সঙ্গে যুবলীগ নেতা সমুনের বিকৃত যৌন সম্পর্কের ভিডিও এবং ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নগরজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর গত ২০ এপ্রলি রাজশাহী মহানগর যুবলীগ দলীয় সভা করে সুমনকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করে।

স/আর