রাজশাহীর ‘বড়কুঠি’ হবে জাদুঘর

নিজস্ব প্রতিবেদক:


বৃহৎ পরিসরে সংস্কার, সংরক্ষণ হবে রাজশাহীর ‘বড়কুঠি’। সংস্কার ও সংরক্ষণের পরে বড়কুঠিকে জাদুঘরে পরিণত করা হবে। ডাচরাদের নির্মাণ করা এই বড়কুঠি জাদুঘরটি ডাচদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, ছবি, পেইন্টিং তথ্য উপাত্ত ও বড়কুঠি নির্মাণের ইতিহাসে সমৃদ্ধ করা হবে। আর কাজ শেষে জাদুঘরটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা।



তিনি আরও বলেন-২০১৮ সালে মে মাসে বড়কুঠিকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংরক্ষিত পুরার্কীতি হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। বড়কুঠির সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজ কোভিড-১৯ এর কারণে শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হলো। প্রথম পর্যায়ে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সংস্কার কাজ শুরু হলো। ডাচদের ব্যবহৃত কোন জিনিসপত্র, তথ্য-উপাত্ত যদি কারো কাছে থেকে থাকে, তাহলে আমাদের প্রদানের অনুরোধ করছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে রাজশাহী নগরীর পদ্মপাড়ে অবস্থিত সংরক্ষিত পুরার্কীতি ‘বড়কুঠি’ এর সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। পরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন নিদর্শন বড়কুঠি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বাংলায় এসে ডাচরা রাজশাহীর পদ্মার তীরে এই ভবনটি নির্মাণ করেছিল। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বড়কুঠি ভবনে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন ছিল।



তিনি আরও বলেন, পদ্মাপাড়ে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত বড়কুঠি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। বড়কুঠি বিশে^র মধ্যে আইকনিক সিম্বল হতে পারে। এছাড়া রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ি, বাগমারা তাহেরপুরে কংস নারায়ণের রাজবাড়ীতে অবস্থিত মন্দিরসহ অন্যান্য প্রচীন স্থাপনাকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা সম্ভব হলে দেশ-বিদেশী পর্যটকরা আকর্ষিত হবেন। পর্যটকদের আগমনে রাজশাহী সমৃদ্ধ হবে। আগামীতে পর্যটন খাত বাংলাদেশের অন্যতম একটি আয়ের খাতে পরিণত হবে। পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকার যথেষ্ট যত্নশীল।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাসিবের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আবির বিন কায়সার, প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, রাসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর কবির, নগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বঙ্গবন্ধু কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।

স/আ