রাজশাহীর পূজা মণ্ডপে বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি! উচ্ছাসিত ভক্তরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী মাসেই কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপ ঘিরেই শুরু হয়েছে ভক্তদের নানা ব্যতিক্রমী অয়োজন। এই আয়োজনে এবার অন্যরকম মাত্রা যোগ করলো রাজশাহী নগরীর একদল ফুটবল ভক্ত। তারা শহরের রানীবাজার মোড়ে নিয়েছেন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।  শারদীয় দুর্গাপূজায় ফুটবল বিশ্বকাপের থিমেই সাজিয়েছেন পূজা মণ্ডপ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্বকাপের থিমকে কেন্দ্র করে মণ্ডপ দেখতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। মণ্ডপটি দেখে মনে হচ্ছে যেন বিশ্বকাপের ট্রফি এনে বসানো হয়েছে। আর তাই মণ্ডপটি দেখতে ছোট বড় সবাই ভিড় করছেন। নগরবাসীর মধ্যে ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে পূজা মণ্ডপটি। বিশ্বকাপের ট্রফিটি মণ্ডপের ওপরের অংশে শোভা পাচ্ছে। ট্রফিটি ২৬ ফুট উঁচু ও ১০ ফুট চওড়া। আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের ট্রফির আদলেই এটি বানানো হয়েছে। ট্রফির চারপাশে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২ টি দেশের পতাকাও শোভা পাচ্ছে। আর পতাকার মাঝখানে রয়েছে ট্রফিটি। ট্রফির ঠিক ওপরেই আছে বাংলাদেশের পতাকা। একটু পাশেই একতার প্রতীক হিসেবে ১১ জন খেলোয়াড়ের অবয়ব দিয়ে বানানো হচ্ছে একটি পৃথিবী। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জার্সি পরানো আছে খেলোয়াড়দের গায়ে।

জানা গেছে, গত ৭ বছর ধরেই টাইগার সংঘের পূজা মণ্ডপ থাকে রাজশাহীর মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। প্রতি পূজার সময় ভিন্ন ভিন্ন থিম নিয়ে মণ্ডপ সাজানোর জন্য সবাই দেখতে আসেন সেটি। ১৯৮২ সালে টাইগার সংঘ নাম দিয়ে এই পূজা মণ্ডপের যাত্রা শুরু। দীর্ঘ ৪০ বছরের মধ্যে তিনবার এই পূজা মণ্ডপের স্থান পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন থিম নিয়ে টাইগার সংঘ মণ্ডপ সাজাচ্ছে ২০১৬ সাল থেকে। সেবার বাংলাদেশের জাতীয় পশু বাঘের মুখের আদলে মণ্ডপটি সাজানো হয়।

প্রথম বছরেই দর্শনার্থীদের দারুণ সাড়া পায় তারা। তারপর থেকেই একের পর এক থিম নিয়ে তারা সাজাতে থাকেন মণ্ডপ। বছরের আলোচিত ঘটনাগুলোর থিমের আদলেই মণ্ডপটি সাজানো হয়।

দ্বিতীয় বছর ২০১৭ সালে বাহুবলী সিনেমার আদলে বানানো হয় মণ্ডপ। এরপর ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আদলে বানানো হয়। সেবারও দারুণ সাড়া পান আয়োজকরা। এর পরের বছর ২০১৯ কিংবদন্তী গায়ক আইয়ুব বাচ্চুর রূপালী গিটার দেখা যায়। ২০২০ সাল আলোচিত ছিল অতিমারী করোনায় জন্য। তাই এবার মণ্ডপে জায়গা করে নেয় করোনার আদল। তবে ২০২১ সাল ছিল ব্যতিক্রম। এ বছর তারা একবারেই সাদামাটা ধাচের মণ্ডপ তৈরি করে। দর্শনার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েন। তবে এবার তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে নিয়ে আসা হয়েছে বিশ্বকাপের ট্রফির আাদল।

টাইগার সংঘের কার্যকরী সভাপতি সুশীল কুমার আগারওয়ালা বলেন, ‘আমাদের এই মণ্ডপ ঘিরে সবার অনেক প্রত্যাশা থাকে। গতবার সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। তাই এবার হতাশ করতে চাই না। এবার ট্রফিটি নির্মাণ করতে আমাদের ব্যায় হচ্ছে প্রায় আট লাখ টাকা।

জি/আর