রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে গ্যারেজের নামে মোটরসাইকেল থেকে চলছে চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীবাসীর সেরা বিনোদনের ঠিকানা হচ্ছে পদ্মা নদীর পাড়। স্বাভাবিকভাবেই সারাক্ষণ এখানে মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে।

আর এ সুযোগে রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পাড় দখল করে গড়ে উঠছে অবৈধ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গ্যারেজ। বিশেষ করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তৈরি করা বিনোদন কেন্দ্রের পাশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ার হিড়িক পড়ে গেছে।

সব মিলিয়ে শহরের বিপরীতে পদ্মার পাড়ে এ রকম শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারিক স্থাপনা গড়ে উঠেছে। আর মটর সাইকেল, সাইকেল রাখা নিয়ে পদ্মার ধারে কফিবারের সামনে গড়ে উঠেছে অবৈধ গ্যারেজ। যেখানে প্রতিনিয়ত চলছে চাঁদাবাজি। আর বিশেষ দিন আসলে তো কথাই নাই ইচ্ছে মত টাকার পরিমান নির্ধারণ করে গ্যারেজের নামে জনসাধারনের কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে টাকা।

Image result for রাজশাহীর পদ্মা পাড় দখল

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নগরবাসী জানান, কোথাও পিলার, কোথাও পাকা ভবন আবার কোথাও বাঁশ, খাম্বা দিয়ে দখল করা হয়েছে রাজশাহীল পদ্মার পাড়। একসময় যখন পদ্মার তীরে দাঁড়ালে এ মাথা থেকে ও মাথা দেখা যেত, এখন সেখানে শুধু চোখের সামেন পড়ে বিভিন্ন স্থাপনা। এমনকি শুকনো পদ্মার বুকে চরের মধ্যে ওপরের দিকে তাকালেও তীর দেখা মুশকিল। সমানে ভেসে আসে পদ্মাজুড়ে দখলের ছবি। আর নগরবাসীর বিনোদনের জায়গা থেকেই গ্যারেজের নামে টাকা দিতে হচ্ছে আমাদের।

এদিকে আরেক নগরবাসী বলেন, গ্যারেজের নামে প্রতিনিয়ত তারা টাকা আদায় করছে। এখানে টিকিট ছাড়া অন্য কোন মটরসাইকেল, সাইকেল সাময়িক ভাবে রাখতে দেয় না। অনেক সময় মটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে গ্যারেজ কর্তৃপক্ষের খারাপ ব্যবহারের শিকার হয়েছে সাধারণ জনগণ । হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনাও ঘটেছে এখানে।

তবে পদ্মার ধারে কফিবারের সামনের কতটুকু জায়গা সিটি কর্পোরেশন গ্যারেজের জন্য ইজারারা দিয়েছে তা ঠিক চিহ্নিত করা নেই। মোটরসাইকেল প্রতি ইজারাদার কত টাকা আদায় করতে পারবেন তাও সুনির্দিষ্ট করা নেই। বিশেষ দিনের নামে আদায় করা হচ্ছে ২০ টাকা করে চাঁদা।

উল্লেখ্য, নগরবাসীর বিনোদনের কথা চিন্তা করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকার সময় নগরের বড়কুঠি বালুঘাট (পুরনো জাহাজঘাট) এলাকায় প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মা নদীর ধারের পরিত্যক্ত জায়গায় দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলেন।

কিন্তু দখল আর অবৈধ স্থাপনার কারনে এই নগরবসীর এই বিনোদন কেন্দ্র এখন আনেকটা হুমকির মুখে পরেছে।

স/অ