নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী থেকে ঢাকা বিরতিহীন ট্রেনের নাম দেয়া হয়েছে বনলতা। এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পহেলা বৈশাখে উদ্বোধন হবে না বলে রেলওয়ে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের মানুষের উপহারস্বরূপ দেওয়া বিরতিহীন ট্রেনটির নাম চূড়ান্ত করেছেন। এখন কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার অপেক্ষা। যেকোনো দিন এই ট্রেনের শুভ উদ্বোধন।
জানা গেছে, ট্রেনটিতে এক সঙ্গে ৯২৮ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। ৩টি এসি চেয়ার ও ৮টি সোভন বগিতে মোট যাত্রী যাবে ৮২৫ জন। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের ভাড়া হতে পারে ৩৭৫ টাকা। আর স্নিগ্ধার (এসি চেয়ার) ভাড়া হতে পারে ৭১৯ টাকা। এছাড়া ৮৬৩ টাকায় পাওয়া যেতে পারে এসি কেবিন আর ১ হাজার ২৮৮ টাকায় মিলতে পারে এসি বাথ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলপথ মন্ত্রণালয়ে এ ভাড়া প্রস্তাব করেছে। যা অনুমোদন হতে পারে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ওই ট্রেনটি নাম নির্ধারণ হতে চলেছে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। এছাড়া ১১ এপ্রিল সকাল থেকে এর আগাম টিকিট ছাড়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। আগে ট্রেনটির উদ্বোধনী তারিখ নির্ধারণ করা ছিল ১৪ এপ্রিল। পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ, নববর্ষের দিন দুপুর ১টা ১৫মিনিটে (সম্ভাব্য) ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল।
কেবিনকিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে প্রস্তুতির জন্য আরও কিছু সময় প্রয়োজন হওয়ায় তা পিছিয়ে গেছে।ওইদিন চালু না হলেও সব প্রস্তুতিই থাকছে। ২০ এপ্রিলের পর যে কোনো একটি দিনে ট্রেনটি উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দেশের আন্তঃনগর কোনো ট্রেনে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট সংযুক্ত হচ্ছে। এ কারণে মলমূত্র আর রেললাইনের ওপরে পড়বে না। স্টেশনে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায়ও যাত্রীরা টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রথমবারের মতো ট্রেনটিতে রিক্লেনার চেয়ার বসানো থাকবে। যেখানে পা এবং হেলান দেওয়ার আরামদায়ক সুবিধা রয়েছে। আর এসি বাথের কেবিনে বেডরেস্ট দেওয়া হবে। যা রাতে বিছিয়ে দিলে ছোট খাটের মতো হয়ে যাবে। এছাড়া কেবিনে ওপরের সিটে ওঠার জন্য স্টিলের মইয়ের বাদলে সিঁড়ি দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা নতুন অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ দিয়ে ট্রেনটি সপ্তাহে ছয়দিন চলবে। সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে শুক্রবার। সিগন্যাল পাসিং দ্রুত শেষ হলে ঢাকা-রাজশাহী বিরতিহীন ট্রেনটির ভ্রমণ সময় হবে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা।
বিরতিহীন এ ট্রেন হবে দেশের সর্বাধুনিক হাইস্পিড কোচের ট্রেন। ঘণ্টায় এর গতি হবে ১৪০ কিলোমিটার; অর্থাৎ প্রতি মিনিটে ট্রেনটি আড়াই কিলোমিটার যাবে। বিদ্যমান ট্রেনগুলোতে এখন ৩৪৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লাগে। এতে রাজশাহী-ঢাকা ট্রেন ভ্রমণে সময় বাঁচবে আড়াই ঘণ্টা। প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী, ঢাকা থেকে ট্রেনটি দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়। রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে বেলা ১১টায়। বিরতিহীন চার্জ হিসেবে বিদ্যমান ভাড়ার সঙ্গে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে ভ্রমণকারীদের।
স/আর