নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর দোকানপাট প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার সকাল থেকে কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও দুপুর ১২টার দিক থেকে সেগুলো বন্ধ হতে শুরু করে। প্রশাসনের লোকজন গিয়ে দোকানপাট বন্ধ করার নির্দেশ দিলে ব্যবসায়ীরা তা মেনে নিয়ে বাসায় ফিরে যেতে শুরু করেন।
এদিকে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও চলছে সীমিত আকারে যানবাহন। ফলে রাস্তা-ঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। রাস্তায় অটোরিকশা, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার এবং কিছু বাসও চলাচল করতে দেখা গেছে।
নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী রিয়ন বলেন, ‘সকালে দোকান খুলেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন এসে দোকান বন্ধ করতে বলেন। ফলে দোকান আবার বন্ধ করে দিয়েছি। আবার দোকান খোলা রেখেও ব্যবসা হচ্ছে না। মানুষের মাঝে আতঙ্ক ভর করে আছে করোনা নিয়ে। তাই খুলে রেখেও কোনো লাভ নেই।’
চা ব্যবসায়ী আজাদ বলেন, ‘দোকান বন্ধ করে চলবো কি করে। সংসার তো চালাতে হবে। এ কারণে সকালে খুলেছিলাম। অল্প কিছু বেচা-বিক্রি হয়েছে। তবে পরে বন্ধ করে দিয়েছি। এভাবে কতদিন চলতে হবে বুঝতে পারছি না। আমাদের কাছে তো গোচ্ছিত টাকা নাই যে ঘরে বসে বসে সেগুলো খরচ করবো। এখন সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে ‘
এদিকে নগরীর সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন শো-রুমগুলোও বুধবার দুপুরে বন্ধ গেছে। তার পরেও ছোট ছোট কিছু দোকানপাট খোলা থাকওে দেখা গেছে।
অটোরিকশা চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অটোরিকশা জমা নিয়ে ভাড়া মারি। দিন আনি দিন খাই। এখন রাস্তায় বের হয়েও লোক পাওয়া যাচ্ছে না তেমন। তার পরেও দুই-একজন উঠছে। কিন্তু একেবারে অটোরিকশা চালাতে না পারলে তখন কি খেয়ে থাকবো আর পরিবারের মুখে কি খাবার তুলে দিব-এটা ভাবতেই বুক ফেটে যাচ্ছে।’
রিকশা চালক মজিদ আলী বলেন, ‘শুনছি কাল (বৃস্পতিবার) থ্যাকি রিকশা চালাতে পারব না। তাহলে আমরা খাবো কি, আমাদের কে খাওয়ার দিবে, ট্যাকা পাবো কুণ্ঠে?’
স/আর