বৃহস্পতিবার , ৪ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

রাজশাহীর দুই ওসি বদলি: মাদক ও হয়রানির অভিযোগ

Paris
জানুয়ারি ৪, ২০১৮ ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর বিতর্কিত সেই দুই ওসিকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। মাদক কারবারিদের সঙ্গে আঁতাত করে লাখ লাখ টাকা আদায় করাসহ সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগে বদলি করা হয়েছে জেলার গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সিকেকে এবং মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে বদলি করা হয়েছে চারঘাট থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মনকে। এই দুই ওসি দীর্ঘদিন ধরেই একই কর্মস্থলে থেকে এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে ছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর এই দুই ওসিকে বদলির আদেশ দেওয়া হয় পুলিশ হেডকোর্য়াটর থেকে।

বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশেদ আলম বলেন, ‘দুই ওসিকে বদলি করা হয়েছে। তবে কি কারণে বদলি করা হয়েছে-তা বলতে পারব না। পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে তাঁদের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।’

তবে পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, দুই ওসির মধ্যে গোগাদগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করে সরাসরি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় সাধারণ মানুষকে মাদকের মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এই ওসির বিরুদ্ধে সম্প্রতি জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় মাদক ব্যবসার সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন গোদাগাড়ী পৌর মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু। এরপর তিনি লিখিতভাবে পুলিশ হেড কোর্য়াটারেও ওসি হিপজুর আলম মুন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ (বিশেষ শাখা) সুপার সুমিত চৌধুরি তদন্ত করেন। এরপর ওসি হিপজুর আলম মুন্সিকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।

তবে বদলির আদেশের বিষয়টি স্বীকার করলে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি হিপজুর আলম মুন্সি। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতির স্বীকার হয়েছি আমি। পৌর মেয়রের সঙ্গে এমপির তদন্ত রয়েছে। আমরা এমপিকে সাপোর্ট করতে গিয়ে মেয়রের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।’

এদিকে চারঘাট থানার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির নামে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে অর্থ আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এই ওসিও মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গোপনে তদন্ত করে পুলিশ।

পরে সেই তদন্তের ভিত্তিতে ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মনকে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনো অভিযোগ নাই। তবে বদলি তো হতেই হবে। এটি নিয়মিত অংশ।’

 

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর