চারঘাটে মদপানে পাঁচজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর চারঘাটে মদপানে ৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। সোমরাত ও মঙ্গলবার দিনের বিভিন্ন সময় তারা মারা গেছে বলে সিল্কসিটি নিউজকে জানিয়েছেন চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ।
তারা হলেন, সারদা পুলিশ একাডেমীর ভিতরের সুইপার কলোনীর বাসিন্দা গণেশের ছেলে জহুর লাল(৬৫), একই এলাকার বাসিন্দা রনজিতের স্ত্রী বধুনী রানী(৭০) ও একই এলাকার সিরাম এর ছেলে অনিল (৫৫) এবং পৌরসভার এলাকার গৌরশহরপুর গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে মাহাতাব উদ্দিন (৫০) ও মোক্তারপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন(৫৫)।
ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান মাহাতাব উদ্দিন সোমবার দিনগত গভীর রাতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে তার পরিবারের সদস্যরা চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহাতাব উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করলে মাহাতাবের পরিবার কাউকে কিছু না জানিয়ে লাশ দাফন করে।

 

এরপর মঙ্গলবার ভোরে সুইপার কলোনীর বাসিন্দা জহুর লাল, বধুনী রানী ও মোক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাদের পরিবারের লোকজন দ্রুত তাদের চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে তারে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। তাদের ৩জনকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে।

 

এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সুইপার কলোনীর বাসিন্দা অনিল অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে নেওয়া হয়। আজ দুপরে অনিল সেখানে মারা যায়। অনিলের লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। অপর জহুর লাল, বধুনী রানী ও  হেলাল উদ্দিনের ময়না তদন্তের জন্য রামেকে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা মনে করছে, অতিরিক্ত মদপানে তারা মারা গেছে। তবে পুলিশ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি।
ওসি নিবারণ চন্দ্র বলেন, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মদপানের কারণে হয়তো তারা মারা গেছেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি জানা যাবে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং নিহতদের পরিবারের সাথে কথা বলেছেন সহকারী পুলিশ সুপার আসলাম উদ্দিন ও চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিবারন চন্দ্র বর্মন।

স/মি