রাজশাহীর চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টানা বর্ষণে পদ্মা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ভারতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি লকগেট খুলে দিয়েছে। ফলে অস্বাভিক ভাবে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার পানি।

এমত অবস্থায় রাজশাহীর পদ্মার চররাঞ্চল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক স্ট্যাটাসটি সিল্কসিটি নিউজের পাঠকের কাছে হুবহু তুলে ধারা হলো,

“পদ্মা নদীর পানি অক্টোবরের ৫ তারিখ পর্যন্ত বাড়তে পারে, তারপর কমা শুরু হতে পারে।

ঢাকায় কথা বলে প্রথম দফায় কিছু ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

একটু আগে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমি রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছি গোদাগাড়ী ও পবা সহ সকল চরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে (প্রয়োজন হলে) মানুষ সরিয়ে মুল ভুখন্ডে কয়েকদিনের জন্য নিয়ে আসার জন্য। এরজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। মন্ত্রনালয় থেকে দ্রুত এবং বাড়তি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজগুলো করবেন।”

এদিকে, টানা বর্ষণে পদ্মাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে বাড়তে শুরু করেছে পানি। এরই মধ্যে ফারাক্কার প্রায় সবগুলো গেট খুলে দেয়ার অস্বাভিক ভাবে বাড়তে শুরু করেছে পদ্মার পানি। এতে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন চর ও নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর পদ্মায় প্রবাহ বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার। যা আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রবাহ বেড়েছিল ৬ মিটারের মত। ফলে পদ্মার পানি এখন বিপদসীমার ১৮ দশমিক ৫০ মিটারের কাছাকাছি চলে এসেছে।

শুষ্ক মৌসুমে রাজশাহীর পদ্মায় পানি না থাকলেও রাজশাহীর এসব অঞ্চল এখন ডুবতে বসেছে ফারাক্কা থেকে ধেয়ে আসা পানিতে। হুমকির মুখে পড়তে বসেছে শহর রক্ষা বাঁধও। ইতোমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে বেশ কিছু দিন থেকেই থেকে নগরীর টি-বাঁধ এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ তৈরি করা শুরু হয়েছে।

স/অ