রাজশাহীর কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে নিত্যপণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাজারে পণ্য আমদানি বৃদ্ধি ও ক্রেতা কম থাকায় রাজশাহীর সাহেব বাজারে তুলনামূলকভাবে দাম কমেছে কাঁচাবাজার নিত্যপণ্যের। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম কমেছে। তবে কাঁচামরিচ ও আলুর দাম বাড়লেও কিছু পণ্যের দাম স্থির রয়েছে । আজ বিকাল ৪ টায় নগরীর সাহেব বাজার ও মাস্টারপাড়া তরকারী পট্টি ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্য আমদানি বৃদ্ধি ও চাহিদা কম থাকায় নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। আবার, নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছেন বলেও জানান তারা।
গত সপ্তাহে (১৮ মে) যেখানে পল্ট্রি ছিল ১৪৫ টাকা কেজি আজ তা ১৩৫-১৪০ টাকা, সোনালী মুরগী কেজি প্রতি ৩০০ থেকে নেমে ২৬০ টাকা। পল্ট্রি বিক্রেতা রাকিব বলেন, ‘আমদানি বৃদ্ধি ও কাস্টমার কম থাকায় চাহিদা কমেছে, এজন্য বাজারে পল্ট্রির দাম কমেছে।’
তবে গরু এবং খাসির গোশতের দাম স্থির থাকলেও নির্ধারিত মূল্যে কিনছেন না ক্রেতারা, বলে জানান গরু গোশত বিক্রেতা সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে গরুর গোশতের দাম কেজি প্রতি ৪৫০, খাসি প্রতি কেজি ৭০০-৭২০ টাকা। এখনো একই দাম আছে। কিন্তু ক্রেতারা এ দামে কিনতে রাজি না হওয়ায় গরু গোশত প্রতি কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে ৪২০ টাকা পর্যন্ত। তিন আরও বলেন, ‘দাম বেশি নিলে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে কিন্তু ক্রেতারা কম দামে কিনলে কি কিছু করার নাই?’
সবজির বাজারেও দাম কমেছে। শসা ৫০-৫৫ থেকে নেমে ৩৫-৪০ টাকা কেজি, প্রতি পিচ লাউ ৩৫-৪০ থেকে নেমে ১৫-২০ টাকা, লেবু ১৫ থেকে নেমে ১০-১২ টাকা, কাঠাল ২০, পুইশাক ২০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে নেমে ৩০-৪০ টাকা।
সবজির দাম কমলেও মাছের দাম স্থির রয়েছে। সিলভার ১২০-২০০ টাকা, ইলিশ (ফ্রিজ) ৬০০-৮০০ টাকা, টাটকা ইলিশ প্রতি কেজি ১৫০০- ১৮০০ টাকা। পাবদা ৪৫০, রুই ১৮০, বাটা মাছ ২০০, টেংরা ৬০০-৮০০ টাকা ওজনের তারতম্যে প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
শাকের দামও স্থির রয়েছে বাজারে। কলমি শাক ১০, লালশাক ২০, লাউশাক ২০-২৫ টাকা আটিতে বিক্রি হচ্ছে।

স/শা