রাজশাহীতে ৯০ শতাংশ বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিদ্যালয় আছে, নেই শহিদ মিনার। তাই হয় না একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো আয়োজন। এইজন্য মাতৃভাষাসহ বিভিন্ন দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না রাজশাহীর বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে দিবসগুলো শুধু ছুটির দিন হিসেবে কেটে যায় তাদের।

এইজন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যেতে হয় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে। আবার কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অস্থায়ীভাবে শহিদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করে। কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটিতে পালিত হয় সরকারি ছুটি হিসেবে।

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, পুরো জেলায় এক হাজার ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০৭টিতে শহিদ দিনার রয়েছে। বাকিগুলোতে নেই। অর্থাৎ জেলায় ৮৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার।

যদিও দফতরটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

নগরীর বুধপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষর্থী জানায়, তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই। তারা বিভিন্ন দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে আসেন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

অন্যদিকে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিল করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে তা-ও করা হয় না।

নগরীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারিয়া সুলতানা জানায়, ‘তার বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নাই। তবে বিভিন্ন দিবসে অস্থায়ীভাবে শহিদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তবে শহিদ মিনার হলে অনেক ভালো হবে।’

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানায়, ‘বর্তমানে ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৈরি করা হবে।’

 

স/আ